শেষ আপডেট: 26th September 2024 19:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার যে তৎপর তা আরও একবার স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। তারমধ্যেও দ্রুত গতিতে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের সুরক্ষা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে।"
হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সিসিটিভি, পানীয় জল, রেস্ট রুম, ওয়াশ রুম-সহ পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে পিডব্লউডির পাশাপাশি এখন থেকে হাসপাতালের অধ্যক্ষদেরও টেন্ডার ডেকে বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বন্যার পরিস্থিতিতে পিডব্লউডি-রও অনেক কাজ। তাই প্রিন্সিপালদেরও বলছি, সুরক্ষার কাজ দ্রুত শেষ করতে যা যা প্রয়োজন করুন।"
মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, হাসপাতালের সুরক্ষায় এখন থেকে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স চালু করা হবে। এজন্য প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে বলাও হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "যাঁরা বাইরে থেকে কাজ করতে আসছেন, তাঁদের বিস্তারিত তথ্য রাখতে হবে। সেজন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
প্রতিটি হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আগেই কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থর নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়া হয়েছিল। সেই কমিটি হাসপাতালের সুরক্ষা বিষয়টি চূূড়ান্ত করবে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "১২ হাজার পুলিশের রিক্রুটমেন্ট আটকে ছিল। সম্ভবত সোমবার এর অর্ডার আসবে। সেক্ষেত্রে হাসপাতালের সুরক্ষায় আরও জোর দেওয়া যাবে।"
হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের প্রতিটি ব্লিডিং ও ফ্লোরে অ্যালার্মিং অ্যাপ সিস্টেম চালুর বিষয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সামনে পুজোর মরসুম। তার আগে রাতের সাথী অ্যাপ কীভাবে দ্রুত চালু করা যায়, তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে জেলা ভিত্তিক ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর পরিসংখ্যানও সংগ্রহ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্যা পরিস্থিতির জেরে বাড়তে পারে সাপের উপদ্রব। ফলে প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অ্যান্টি ভেনাম ইঞ্জেকশন, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে কিনা খোঁজ নেন। পরে মমতা বলেন, বন্যা পরিস্থিতির মাঝে কিছু এলাকায় ম্যালেরিয়া প্রকোপ দেখা দিলেও ডেঙ্গির সংক্রমণ এখনও অনেকটাই কম।
পূর্ব ঘোষণা মতো রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিও যে ভেঙে দেওয়া হয়েছে, সেকথা স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অধ্যক্ষেরাই এখন ওই সমিতির সভাপতি। সমিতিতে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্সের এক জন করে প্রতিনিধি এবং জনগণের এক জন করে প্রতিনিধি থাকবেন।
বন্যা প্রসঙ্গে এদিনও ডিভিসিকে একহাত নিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "বন্যার মধ্যেও ওরা জল ছেড়ে চলেছে!"