শেষ আপডেট: 28th October 2024 15:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান হয়েছিল। 'ছাত্র সমাজের' সেই কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী এবং পুলিশের মধ্যে কার্যত সংঘর্ষ হয়। পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলে গত ২৮ অগস্ট বাংলা বনধ ডেকেছিল বিজেপি। সেদিনই উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় দুই বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় সোমবার ফরেনসিক দল নিয়ে তদন্ত করতে গেল এনআইএ।
বোমা-গুলি ছোড়ার ঘটনায় দলের দু'জন নেতা গুরুতর জখম হয়েছিল বলে দাবি করেছিল বিজেপি। পরবর্তী সময়ে জানা যায় দুজনই অর্জুন সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’। তাঁদের নাম রবি সিংহ এবং প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডে। এই দুই নেতার সঙ্গে গাড়ির চালকও জখম হয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন অর্জুন সিং। বলেছিলেন, ‘চালকের কপাল ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে গিয়েছিল।' একই সঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও করেন বিজেপি নেতা।
ঘটনার দিন গাড়ি নিয়ে কাঁকিনাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন প্রিয়াংঙ্কু পাণ্ডে। চালকের ঠিক পাশের আসনেই বসেছিলেন তিনি। পিছনের সিটে ছিলেন রবি সিং। মাঝরাস্তায় অন্য একটি গাড়ির জন্য তাঁদের গাড়ি দাঁড়ালে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন যুবকের মধ্যে থেকে একজন তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার সময়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যা গাড়ির ভিতর থেকে তোলা।
এই ঘটনার পরও শান্ত হয়নি ভাটপাড়া। চলতি মাসেই অর্জুন সিংয়ের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। তার জন্য একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল জগদ্দল থানার পুলিশ। পরে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম পাল্টা অর্জুনকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘অর্জুন নিজে গুলি ছুড়েছে, আর ওঁর দলবল এই বোমাবাজি করেছে।' তবে অর্জুনের দাবি ছিল, ১০০ শতাংশ খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ, বিজেপি নেতা অর্জুন সিং।