চুলের মুঠি ধরে মেরে, টেনে হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন রাবড়ি দেবী, অভিযোগ পুত্রবধূ ঐশ্বর্যর
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পটনার ১০ নম্বর সার্কুলার রোডের বাড়িতে ফের বড়সড় নাটক শুরু হল। শাশুড়ি রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তাঁর পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই। চুলের মুঠি ধরে মেরেছেন শাশুড়ি মা, তারপর টানতে টানতে বের করে দিয়েছেন বাড়ি থ
শেষ আপডেট: 15 December 2019 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পটনার ১০ নম্বর সার্কুলার রোডের বাড়িতে ফের বড়সড় নাটক শুরু হল। শাশুড়ি রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তাঁর পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই। চুলের মুঠি ধরে মেরেছেন শাশুড়ি মা, তারপর টানতে টানতে বের করে দিয়েছেন বাড়ি থেকে, ঐশ্বর্যর অভিযোগ এমনটাই। ঘটনার কথা বিশদে জানিয়ে থানায় এফআইআরও করেছেন ঐশ্বর্য। যদিও রাবড়ি দেবীর ছোট ছেলে তেজস্বী যাদবের দাবি, তাঁদের পরিবারের বিরুদ্ধে বদনাম রটাতেই নাকি এই চক্রান্ত।
ঐশ্বর্যর দাবি, স্বামী ও শ্বশুরের অনুপস্থিতিতে ননদ ও শাশুড়ি মিলে তাঁর উপর নির্যাতন চালাচ্ছেন। শ্বশুরবাড়িতে তাঁকে ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না বলে আগেও অভিযোগ এনেছিলেন ঐশ্বর্য। সেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল লালুপ্রসাদের কন্যা তথা আরজেডি-র রাজ্যসভা সাংসদ মিসা ভারতীর বিরুদ্ধে। এবার ঐশ্বর্য সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছেন তাঁর শাশুড়ি রাবড়ি দেবীকেই।
“আমি ঘরে বসে টিভি দেখছিলাম। মোবাইলে মেসেজ আসে যে পটনা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে তেজপ্রসাদের সমর্থকরা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্টার লাগিয়েছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলেই তেড়ে আসেন শাশুড়ি,” অভিযোগ ঐশ্বর্যর। তাঁর দাবি, নিজের পরিবারের হয়ে কথা বলতে গেলেই নাকি চুলের মুঠি ধরে তাঁকে বেধড়ক মারতে থাকেন রাবড়ি দেবী। তাঁর মাথায়, হাঁটুতে ও পায়ে চোট রয়েছে। চুলের মুঠি ধরেই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে।
১০ সার্কুলার রোডে, শাশুড়ি রাবড়ি দেবীর বাংলোর বাইরে, একটি ছাউনির নীচে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায় ঐশ্বর্যকে। খবর পেয়ে সংবাদমাধ্যম হাজির হলে ঐশ্বর্য জানান, স্বামী তেজপ্রতাপ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করার পরও মুখ বুজে শ্বশুরবাড়িতে পড়েছিলেন তিনি। ভাঙা সম্পর্ক ফের জোড়া লেগে যাবে বলে আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু গত কয়েক মাসে নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে তাঁর। ননদের নির্দেশে খেতে দেওয়া হয় না তাঁকে। চুলের মুঠি ধরে অপমান করেন শাশুড়ি। তাঁর বাবা-মায়ের নামে আপত্তিকর মন্তব্য করে পোস্টার লাগানো হচ্ছে চারদিকে। এই ঘটনার খবর পেয়েই বাংলোয় ছুটে আসেন ঐশ্বর্যর মা চন্দ্রিকা। এসে পৌঁছয় পুলিশও।
মহিলা থানার এসএইচও আরতি কুমারী জয়সওয়াল বলেছেন, ঐশ্বর্য বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা করা হবে।
২০১৮-র মে মাসে আরজেডি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী চন্দ্রিকা রায়ের মেয়ে ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিয়ে হয় লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপের। কিন্তু বিয়ের সাত মাসের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে চলে যান তেজপ্রতাপ। শিক্ষিত, স্বাধীনচেতা ঐশ্বর্যর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না বলে জানান তিনি। এমনকি, ওই বাড়িতে ঐশ্বর্য থাকলে তিনি ফিরবেন না বলেও জানিয়ে দেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের হয়। সেই মামলা এখনও চলছে।