শেষ আপডেট: 1st August 2020 03:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এখনও পৃথিবী জুড়ে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই অতিমারীর প্রভাব কয়েক দশক ধরে বোঝা যাবে বলে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। সংক্রমণ ছড়ানোর ছ’মাসের মধ্যেই এই সতর্কবার্তা জানাল তারা। চিনে গত বছর ডিসেম্বর মাসে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৭৩ লাখের বেশি মানুষ এই সংক্রমণের কবলে পড়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার মানুষের। এই অবস্থায় সংক্রমণের প্রভাবের কথা জানিয়েছে হু। শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমারজেন্সি কমিটি। এই কমিটির ১৮ সদস্য ও আরও ১২ উপদেষ্টা এই নিয়ে চারবার বৈঠকে বসল। সেখানেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম জানান, “ছ’মাস আগে আপনারা পরামর্শ দিয়েছিলেন যাতে আমি পাবলিক হেলথ এমারজেন্সি অফ ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন জারি করি। সেই সময় চিনের বাইরে ১০০ জনও সংক্রামিত হয়নি। একটাও মৃত্যু হয়নি। কিন্তু এখন এই অতিমারী এক শতকে একবার আসা অতিমারীতে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাব আগামী কয়েক দশক ধরে বোঝা যাবে।” এদিনের বৈঠকে হু প্রধান আরও বলেন, “অনেক দেশ মনে করছে এই সংক্রমণ শেষ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তখনই সেখানে দ্বিতীয়বার সংক্রমণের ঢেউ আসছে যা প্রথমবারের থেকেও ভয়ঙ্কর। তাই এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার সময় আসেনি। বহুদিন ধরে লকডাউন থাকায় অনেক দেশ আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে। তাই ভ্যাকসিন ছাড়া এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার কোনও উপায় নেই। তবে ভ্যাকসিন বের হলেও মাথায় রাখতে হবে এই ভাইরাসের সঙ্গে বেঁচে থাকা আমাদের শিখতে হবে। তাই কিছু কিছু জিনিস, যেমন মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, রাস্তায় দূরত্ব বজায় রাখাকে নিজেদের অঙ্গ করে নিতে হবে আমাদের।” এই বৈঠকে বিশ্বজুড়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে আর কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও এই ভাইরাসকে অতিমারী হিসেবে আখ্যা বজায় রাখবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছে। ৩০ জানুয়ারি প্রথমবার করোনাকে পাবলিক হেলথ এমারজেন্সি অফ ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন বলে আখ্যা দিয়েছিল হু। করোনা সংক্রমণকে আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করতে দেরি করায় এর আগে অনেক দেশ সমালোচনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। আমেরিকা তো এই অভিযোগও করেছে যে চিনকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে হু। তাই নিজেদের ফান্ড বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প সরকার। এছাড়া ভাইরাস ছড়ানো, মাস্ক পরা নিয়ে প্রথমে যে সতর্কবার্তা ও পরবর্তীকালে যে সতর্কবার্তা জারি করেছে হু তার মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকায় সেটা নিয়েও সমালোচনা হয়েছে বিশ্বজুড়ে।