শেষ আপডেট: 8th August 2019 09:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ব্লাড ডোনেট করেন অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা বিরাশি বছরের জেমস হ্যারিসন। গত ৬০ বছর ধরে চলছে এমনটাই। আর এই হ্যারিসনের দেওয়া রক্তেই এখনও পর্যন্ত প্রাণে বেঁচেছে ২৪ লক্ষ অস্ট্রেলিয়ান শিশু। চিকিৎসক মহল বলছে, হ্যারিসন না থাকলে হয়তো গর্ভেই মৃত্যু হতো কত শিশুর। এত শিশুর জীবনদাতাকে 'Man With the Golden Arm' নামেই চেনেন বিশ্ববাসী। কিন্তু কী এমন রয়েছে এই জেমস হ্যারিসনের রক্তে? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জেমস হ্যারিসনের রক্তে রয়েছে একটা বিরল প্রজাতির রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি। যা সচরাচর দেখা যায় না। উন্নত মানের ইনজেকশন অ্যান্ডি-ডি বানাতে এই অ্যান্টিবডি কাজে লাগে। Rhesus নামে একটি রোগ প্রতিরোধ করার জন্য এই অ্যান্ডি-ডি ইনজেকশন ব্যবহার হয়। ইউকে-র ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস জানিয়েছে, Rhesus এমন একটি রোগ যার ফলে অন্তঃসত্ত্বা মহিলার রক্তে থাকা অ্যান্টিবডি তাঁর গর্ভের সন্তানের রক্ত কণিকাকে ভেঙে দেয়। যার ফলে গর্ভস্থ শিশুর ব্রেন ড্যামেজের সম্ভাবনা থাকে। এমনকী মৃত্যুও হতে পারে। এই রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্যই অ্যান্টি-ডি ইনজেকশন বানাতে জেমস হ্যারিসনের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করেন চিকিৎসকরা। গত ৬০ বছর ধরে এমনটাই চলছে অস্ট্রেলিয়ায়। অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিসের এক সদস্য জানিয়েছেন, বিশ্বে যত মানুষ রক্তদান করেন সকলের রক্তই খুব মূল্যবান। তবে হ্যারিসনের ডোনেট করা রক্ত একটু বেশিই স্পেশ্যাল। কারণ সচরাচর এমন এলিমেন্টস যুক্ত রক্ত কণিকা পাওয়া যায় না। একজন মায়ের রক্তই যখন তাঁর সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, তখন জীবনদায়ী ওষুধ হিসেবে কাজে লাগে এই রক্ত কণিকা।