শেষ আপডেট: 24th March 2020 13:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিদেশ থেকে ফিরে আসার পরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে পাকিস্তানের এক রাজনৈতিক নেতার শরীরে। কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় তাঁকে। সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে হাসিমুখে সেলফি তুললেন ছয় আধিকারিক। একথা জানাজানি হতেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁদেরও রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের সুক্কুরে। কয়েক দিন আগে ইরানে গিয়েছিলেন এক নেতা। সেখান থেকে ফেরার পরেই তাঁর শরীরে কোভিড ১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। তারপরেই সেখানকার একটা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয় তাঁকে। সম্প্রতি সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান ভূমি রাজস্ব দফতরের ছয় আধিকারিক। শুধু দেখা করা নয়, রীতিমতো সেলফিও তোলেন তাঁরা। সেই সেলফিই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিতে দেখা গিয়েছে, ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে মাঝখানে রেখে ছ’জন তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়েছেন। সবাই হাসিমুখে ছবি তুলছেন। কারও মুখে মাস্ক নেই। এমনকি কোয়ারেন্টাইনে থাকা নেতার মুখেও মাস্ক নেই। এই ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। সুক্কুরের ডেপুটি কমিশনার রানা আদিল জানিয়েছেন, “এই খবর জানার পরেই ওই ছয় আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তারপর তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য সুরক্ষাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” এই মুহূর্তে পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯২। তার মধ্যে সিন্ধ প্রদেশেই ৩৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও অবধি ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে এই দেশের বেশ কিছু এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও অনেকেই রাস্তায় বেরিয়েছেন। শুধুমাত্র করাচি থেকে লকডাউন না মানার অপরাধে ৭০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভাইরাস ছড়িয়ে প্রাণহানির অতীত পাকিস্তানে অনেক রয়েছে। কখনও পোলিও, কখনও টিবি, কখনও বা হেপাটাইটিস সংক্রমণের ঘটনা দেখা গিয়েছে অতীতে। তাই কোনও রকমের ঝুঁকি নিতে নারাজ ইমরান খান সরকার। কড়া হাতে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে তারা।