শেষ আপডেট: 2nd July 2020 09:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় গত ১৫ জুন রক্তক্ষয়ী সংঘাত হয়েছিল ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে। তাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। বৃহপস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ডাকে ভার্চুয়াল জনসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “আমরা যদি ২০ জন জওয়ানকে হারিয়ে থাকি তাহলে চিনের দ্বিগুণ সেনা মারা গিয়েছে।” ওই সংঘাতের পর বেজিংয়ের তরফ থেকে ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করা হলেও কতজন সেনার মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও পরিসংখ্যান দেওয়া হয়নি। ঘটনার কয়েকদিন পর চিনা প্রশাসনের তরফে শুধু বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, এক জন কম্যান্ড অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ভারতীয় নিরাপরত্তাবাহিনী শুরু থেকেই দাবি করে অন্তত ৪৩ জন পিপ্লস লিবারেশন আর্মির মৃত্য্য হয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায়। প্রসঙ্গত ১৯৭৫ সালের পর এই প্রথম চিনা সেনাদের সংঘাতে ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্যু হয়েছে। এমনিতে লাদাখ থেকে অরুণাচল কিংবা সিকিম—ভারত-চিন সীমান্তে দুই সেনাবাহিনীর সংঘাত লেগেই থাকে। কিন্তু তা এই পর্যায়ে যায় না। অনেকের মতে ১৯৬৭ সালের পর চিনা সেনার এমন রুদ্রমূর্তি দেখা গিয়েছে গালওয়ানে। এদিন বাংলার ভার্চুয়াল জনসভায় কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও আইনমন্ত্রী বলেন, “আমাদের এখন দুটি ‘সি’ (C)-এর বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। এক, করোনাভাইরাস এবং দুই, চিন।” তিনি আরও বলেন, “কেউ যদি ভারতকে চোখ রাঙায় তাহলে সে পার পাবে না। উপযুক্ত জবাব পাবেই।” এখানেই থামেননি রবিশঙ্কর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “উরিতে জঙ্গি হামলার পর নিয়ন্ত্রণ রেখায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় আমাদের ৪০ জন জওয়ান প্রাণ দিয়েছিলেন। তার ১২ দিনের মধ্যে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে বায়ুসেনা এয়ার স্ট্রাইক করে এসেছিল। একই ভাবে লাদাখ সীমান্তেও চিনকে জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।” লাদাখ সংঘাতের প্রেক্ষাপটেই তথ্য সুরক্ষার ইস্যুতে ৫৯টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। এদিনের ভার্চুয়াল র্যালিতে সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, “৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা আসলে ডিজিটাল ধর্মঘট। এর ফলে দেশের মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে।”