শেষ আপডেট: 13th January 2021 03:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রকাশ্য রাস্তায় তরোয়ালের এক কোপে এক তরুণের গলা কেটে তাকে খুন করেছে এক তরুণী। তারপরে তরোয়াল হাতেই সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে সে। কথা বলছে ফোনে। এই দৃশ্য দেখে হাড় হিম হয়ে গিয়েছিল সেখানে উপস্থিত মানুষদের। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। কেন এই ঘটনা ঘটল তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কেউ। অবশেষে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে ওই তরুণী। তারপরেই এর পিছনের কাহিনী জানায় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলায়। সেখানকার কোভভুর জোনে কাপাভরম ও ধর্মভরম গ্রামের মাঝের রাস্তায় সোমবার সন্ধেবেলা এই ঘটনা ঘটে। মৃত তরুণের নাম তাতাজি নাইডু। বয়স ২২ বছর। থাদেপাল্লিগুদেমের বাসিন্দা তাতাজির সঙ্গে মালাকাপাল্লি গ্রামের বাসিন্দা ২১ বছরের পাবণীর অনেক বছরের সম্পর্ক ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, স্কুলে পড়ার সময় থেকে পাবণী ও তাতাজির প্রেম। তাই পাবণী মনে করত তাতাজির সঙ্গেই তার বিয়ে হবে। কিন্তু সম্প্রতি সেই সম্পর্কে কিছুটা ভাঙন ধরে। তাতাজি পাবণীকে এড়িয়ে যেতে থাকে। পাবণী বিয়ের কথা বললে তাতে না বলে তাতাজি। এমনকি টাকার জন্য পাবণীকে হেনস্থা করে তাতাজি, এমনটাই জানা গিয়েছে। আর তাতেই বিরক্ত হয়ে এই কাণ্ড ঘটায় পাবণী। পশ্চিম গোদাবরীর পুলিশ সুপার কে নারায়ণ নায়েক জানিয়েছেন, তাতাজি যখন বাইকে করে যাচ্ছিল তখন তার উপর হামলা চালায় পাবণী। তলোয়ারের আঘাতে বাইক থেকে পড়ে যায় তাতাজি। তারপরেও তাকে বেশ কয়েকবার কোপায় পাবণী। তারপরে তলোয়ার হাতে কাউকে ফোন করতে দেখা যায় পাবণীকে। এই ঘটনার পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গেলে আত্মসমর্পণ করে পাবণী। তাতাজির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পাবণীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে তারা। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে আর কেউ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।