শেষ আপডেট: 26th September 2020 12:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছে তারা। বিশ্বে বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাও তারা। সেই সংস্থা, সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইইউ শনিবার সরাসরি একটি প্রশ্ন তুললেন। ভারতে কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য কেন্দ্র সরকার ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে পারবে তো? কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের পর সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল তা প্রচুর সংখ্যায় প্রস্তুত করা এবং সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সেই চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গেই এদিন একটি টুইট করে প্রশ্ন ছুড়েছেন আদর পুনাওয়ালা। তাতে তিনি লিখেছেন, “একটি দ্রুত প্রশ্ন: আগামী এক বছরে কেন্দ্রীয় সরকার কি ৮০ হাজার কোটি টাকার সংস্থান করতে পারবে? কারণ, ভারতের প্রতিটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে গেলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে। আমাদের এই চ্যালেঞ্জকেই এখন মোকাবিলা করতে হবে।” https://twitter.com/adarpoonawalla/status/1309788211447652352?s=19 এখানেই থামেননি সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার। তিনি বলেন, “এই প্রশ্ন এ কারণেই করছি যে, ঘরোয়া এবং বিদেশি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে এখন থেকে পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। যাতে চাহিদা অনুযায়ী তারা ভ্যাকসিন প্রস্তুত ও সরবরাহ করতে পারে।” ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং বহুজাতিক ফার্মা সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট ওই ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল চালাচ্ছে। এই ট্রায়াল সফল হলেই গণ হারে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিনি বলেছেন, আগামী বছরের গোড়া থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে যাবে। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে হাত মেলানোর পর সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, মোটামুটি ভাবে এই ভ্যাকসিনের দাম পড়বে কমবেশি ১ হাজার টাকা। প্রাথমিক ভাবে প্রতি মাসে ৩ কোটি লোককে টিকা দেওয়া যেতে পারে। সবাইকে টিকা দিতে অন্তত ২ বছর সময় লাগবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ভ্যাকসিন প্রস্তুত করে গোটা দেশে সরবরাহ করা চ্যালেঞ্জ নয়। আরও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিপুল সংখ্যায় ভ্যাকসিন তৈরি করলে তা মজুতের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি রাজ্যেই তা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে পরিকাঠামো ব্যবস্থাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় বলেছিলেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর কী ভাবে গণটিকাকরণ শুরু হবে সে ব্যাপারে আগেই রূপরেখা তৈরি করে রেখেছে সরকার। তিনি এও বলেছিলেন, বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা সবুজ সংকেত দিলেই উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। কম সময়ের মধ্যে কী ভাবে দেশের প্রতিটি মানুষের টিকাকরণ করা হবে সে বিষয়ে সরকার রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছে।