দেশের জন্য কালো দিন, সীতারমনের সমালোচনা সঙ্ঘ অনুগামী শ্রমিক সংগঠনের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের ফলে যে আর্থিক ধাক্কা লেগেছে তা থেকে দেশকে তুলে ধরার জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ বলেই জানিয়েছিলেন তিনি।
শেষ আপডেট: 16 May 2020 21:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের ফলে যে আর্থিক ধাক্কা লেগেছে তা থেকে দেশকে তুলে ধরার জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে চারদিন ধরে কী কী খাতে সেই টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে তা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কিন্তু চতুর্থ দিনে সীতারমনের ঘোষণার সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ অনুগামী শ্রমিক সংগঠন।
শনিবার চতুর্থ দফার ঘোষণায় আটটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে বেসরকারিকরণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এই পদক্ষেপের ফলে আরও বেকারত্ব বাড়বে বলে অভিযোগ শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সংঘের। সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি ব্রিজেশ উপাধ্যায় জানিয়েছেন, “অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ পর্যায়ের ঘোষণা ভারতের জন্য কালো দিন। প্রথম তিন দিনের বক্তব্য শোনার পরে সাধারণ মানুষের মনে যে আশা দেখা দিয়েছিল, তা চতুর্থ দিনে এজ ঝটকায় ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে।”
চতুর্থ পর্যায়ের ঘোষণায় কয়লা, খনিজ সম্পদের খনন বেসরকারিকরণ, বিমানবন্দরের অপারেশন বিলগ্নিকরণ, প্রতিরক্ষায় বিদেশি লগ্নির পরিমাণ বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করা বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মহাকাশ গবেষণা ও পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য দরজা খুলে সরকার।
এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিজেশ উপাধ্যায় বলেন, “সরকার বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন, সামাজিক প্রতিনিধি ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করতে ভয় পাচ্ছে। তার কারণ তাদের নিজেদের চিন্তাভাবনা স্বচ্ছ নয়। যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে সেখানে আরও বেশি করে সেই কাজই করলেন অর্থমন্ত্রী।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের রাজনীতিবিদদের মনে হচ্ছে বেসরকারিকরণ করলেই হয়তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বাইরে থেকে কোম্পানি এসে প্রচুর টাকা দেবে। কিন্তু তারা এটা বুঝছে না, ধীরে ধীরে শ্রমিকদের হাত থেকে কাজ চলে যাচ্ছে। বাজার পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। এক শ্রেণির মানুষের কাছেই সব ক্ষমতা থাকছে।”
এই সিদ্ধান্তের খুব খারাপ প্রভাব মানুষের উপর পড়তে পারে বলেই জানিয়েছেন সঙ্ঘ অনুগামী এই শ্রমিক নেতা। ব্রিজেশ উপাধ্যায় বলেন, “এর খারাপ প্রভাব সবার আগে পড়বে কর্মীদের উপর। কারণ, বেসরকারিকরণ হলেই সবার আগে চাকরি যাবে। কিন্তু সরকার কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। গণতন্ত্রে এটা কখনওই হওয়া উচিত নয়।”