শাশুড়ি-বউয়ের বিরাট ঝগড়া, বউমার জিনিসপত্র বাপেরবাড়ি পাঠালেন রাবড়ি, ফেরালেন ঐশ্বর্যর বাবা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জেলে বন্দি লালু প্রসাদ যাদব। এদিকে তাঁর ঘরোয়া অশান্তির পারদ এখন সপ্তমে।
বউমা ঐশ্বর্যর সব জিনিসপত্র ফেরত পাঠিয়েছিলেন শাশুড়ি রাবড়ি দেবী। তবে সেসব নিতে অস্বীকার করেছেন ঐশ্বর্যর বাবা এবং আরজেডি এমএলএ চন্দ্রিকা রাই। সাফ জানিয়েছ
শেষ আপডেট: 28 December 2019 08:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জেলে বন্দি লালু প্রসাদ যাদব। এদিকে তাঁর ঘরোয়া অশান্তির পারদ এখন সপ্তমে।
বউমা ঐশ্বর্যর সব জিনিসপত্র ফেরত পাঠিয়েছিলেন শাশুড়ি রাবড়ি দেবী। তবে সেসব নিতে অস্বীকার করেছেন ঐশ্বর্যর বাবা এবং আরজেডি এমএলএ চন্দ্রিকা রাই। সাফ জানিয়েছেন, "কীভাবে ওগুলো ফেরত নেব, যদি কোনও আপত্তিকর জিনিস থাকে।" এখানেই থামেননি ঐশ্বর্যর বাবা। তিনি বলেন, "হতে পারে ওইসব জিনিসের মধ্যে মদের মতো নিষিদ্ধ কিংবা বোমার মতো ভয়ঙ্কর জিনিস রয়েছে।" ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন চন্দ্রিকা রাই। তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবারই দুটো পিকআপ ভ্যানে করে ঐশ্বর্যর বাড়িতে শ্বশুরবাড়িতে থাকা তাঁর সব জিনিস ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন রাবড়ি দেবী। তবে সেদিন থেকে ঠায় চন্দ্রিকা রাইয়ের বাড়ির বাইরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই দুটো ভ্যান। কিছুতেই মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরত আসা জিনিস তিনি ফেরত নেবেন না। চন্দ্রিকা রাইয়ের কথায়, "ওই বাড়িতে মেয়ের ঘরের দরজার তালা ভেঙে ওঁরা সব জিনিস ফেরত পাঠালেন। একবার অনুমতিও নিলেন না। ওঁরা যে সব জিনিস ফেরত পাঠাবেন এটা তো আগে আমাদের জানানো উচিত ছিল। তারপর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে লিস্ট মিলিয়ে নয় সব জিনিস ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা যেত। কিন্তু এভাবে হঠাৎ করে সব হয়ে গেল। কীভাবে ওসব ফেরত নিই, যদি সাংঘাতিক কিছু থাকে ওইসবের মধ্যে।"

তবে ঐশ্বর্যর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অবশ্য জানিয়েছে, জিনিসপত্র ফেরত চেয়ে পাঠিয়েছিল সে নিজেই। পিকআপ ভ্যানের চালকরাও জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার তাঁদের কাছে ফোন আসে যে চন্দ্রিকা রাইয়ের বাড়িতে কিছু জিনিস পৌঁছে দিতে হবে। সেই মতোই মীঠাপুর সবজি বাজার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালু প্রসাদের বাড়িতে হাজির হয় দুটো পিকআপ ভ্যান। জিনিসপত্র নিয়ে ভ্যান চালকরা পৌঁছেও যান চন্দ্রিকা রাইয়ের বাড়িতে। তারপর জানতে পারেন গোটা ঘটনা। এক ভ্যানচালকের কথায়, "এখন যে কী করব বুঝতেই পারছি না। সেই বৃহস্পতিবার থেকে এখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছি।"
লালু প্রসাদ যাদবের ঘরোয়া অশান্তি এখন প্রায় সকলেরই জানা। বড় ছেলে তেজপ্রতাপের বিয়ের পর থেকে চলছে ঝামেলা। ইতিমধ্যেই স্ত্রী ঐশ্বর্যর সঙ্গে থাকতে চান না বলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও রুজু করেছেন লালু-পুত্র। ক'দিন আগে আবার নিজের শাশুড়ি এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, ননদ মিসা ভারতী এবং স্বামী তেজপ্রতাপের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন ঐশ্বর্য রাইও। লালুর পুত্রবধূর অভিযোগ, সাংসদ ননদের পরামর্শে তাঁকে খেতে দেওয়া হয় না। রোজ নির্মম অত্যাচার চলে তাঁর উপর। তবে এবার যা হয়েছে তা শুনে চমকে যাওয়ার জোগাড়।