শেষ আপডেট: 19th June 2020 12:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা সর্বদল বৈঠক শুরু হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চলছে এই বৈঠক। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বই। কারণ বিষয়টি দেশের সুরক্ষার। তাই এড়িয়ে যায়নি কোনও দল। এই বৈঠকে খালি আমন্ত্রণ জানানো হয়নি লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে। এই দুই দলকে বাদ দিয়েই শুরু হয়েছে বৈঠক। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রয়েছেন এই বৈঠকে। এছাড়া বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি - সহ ভারতের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বই উপস্থিত রয়েছেন এই বৈঠকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সব রাজনৈতিক দলের প্রধানদের ফোন করে এই বৈঠকে থাকতে বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কিন্তু ফোন পায়নি আরজেডি ও আপ। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, তাঁদের দলের পাঁচ সাংসদ রয়েছে। এছাড়া তাঁর দলের নেতা প্রথম এই বৈঠকের দাবি তুলেছিলেন। বিহারের সবথেকে বড় দল আরজেডি। তাই তাঁদের কেন ডাকা হয়নি সেই উত্তর বিজেপি দিতে পারবে। আপ নেতা সঞ্জয় সিং টুইট করে বলেছেন, গোটা দেশ এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সকলেই শুনতে চায় প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে কী বলছেন। কিন্তু ইগোর জন্য তাদের ডাকা হয়নি। অথচ, আপ দিল্লির ক্ষমতায় এবং পাঞ্জাবে প্রধান বিরোধী দল। এদিনের বৈঠকে কী আলোচনা হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। কারণ, গত সোমবার লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের উপর চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির হামলার পরে বারবার বিরোধীরা কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বারবার কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। যদিও রাহুলকে জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কংগ্রেস ছাড়া বাকি রাজনৈতিক দলগুলিও এই হামলার জবাব চেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোদী সরকারের উপর যথেষ্ট চাপ রয়েছে। এর আগে জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপর পাক জঙ্গিদের হামলার পরেও ঠিক একই ভাবে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই বালাকোটে হামলা করেছিল বায়ুসেনা। তবে সেটা ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। চিনকে জবাব দিতে এতটা সাহসী পদক্ষেপ কেন্দ্র করবে কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্টই সন্দেহ রয়েছে। এখন এই বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী কিংবা অন্যান্য দলের নেতৃত্ব কী মন্তব্য করেন সেটাই দেখার।