দ্য ওয়াল ব্যুরো: লাদাখে চিনা সেনা যা করেছে তার জবাব দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন লাদাখের বিজেপি সাংসদ জামিয়াং সেরিং নামগিয়াল। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে চিনের দখল নেওয়া আকসাই চিনও ফিরিয়ে নেওয়ার সময় হয়েছে বলেই দাবি তাঁর। উরিতে জঙ্গি হামলার পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যা বলেছিলেন, লাদাখের হামলার পরেও ঠিক একই কথা বলেছেন তিনি। সেবার কিন্তু পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল। এই কথা বলে চিনকে সতর্ক করেছেন লাদাখের সাংসদ।
নামগিয়াল বলেন, "১৯৬২ সালে যে সরকার ক্ষমতায় ছিল, সেই সরকার এখন ক্ষমতায় নেই। এখন কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার রয়েছে। পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকার সময় একই কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবারও তিনি একই কথা বলেছেন। তাই চিনের সতর্ক থাকা উচিত।"
সোমবার হামলার পরে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে জানিয়েছেন, জওয়ানদের এই বলিদান বৃথা যাবে না। সবকিছুর জবাব দেওয়া হবে। ভারত যুদ্ধ চায় না। কিন্তু অন্য দেশ যদি ভারতের উপর হামলা করে তাহলে তাকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। উরিতে জঙ্গি হামলার পরেও একই কথা বলেছিলেন মোদী। তারপরেই পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়। সেই প্রসঙ্গই এখানে টেনে এনেছেন লাদাখের বিজেপি সাংসদ।
লাদাখের মানুষ ভারতীয় সেনার পাশে রয়েছে বলেই দাবি নামগিয়ালের। তিনি বলেন, "লাদাখের মানুষ ভারতীয় সেনা ও দেশের পাশে রয়েছে। দেশ যা ঠিক করবে সেটাই মেনে নেওয়া হবে। এখানকার মানুষ একবারে এই সমস্যার সমাধান চায়। শুধু লাদাখের মানুষই নয়, দেশবাসীও এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চান। কারণ আমরা চাই না রোজ রোজ সীমান্তে জওয়ানরা শহিদ হন। এতে সীমান্ত এলাকায় থাকা বাসিন্দাদের জীবন হানিরও সম্ভাবনা বাড়ে। তাই আমরা এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।"
চিন বারবার ভারতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে দাবি করেছেন লাদাখের সাংসদ। নামগিয়াল বলেন, "১৯৬২ সালে চিন আমাদের থেকে ৩৭২৪৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা ছিনিয়ে নিয়েছিল। সেই এলাকার নাম তারা দিয়েছে আকসাই চিন। আমার শুনলে হাসি পায়। আসলে ওটা চিনের বেআইনি অধিকৃত ভারতীয় ভূখণ্ড। এটা চিনের অধিকৃত লাদাখ। আমাদের দাবি বরাবর ছিল। এখনও আছে। এখন প্রশ্ন হল আমাদের এলাকা কি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আমি বলছি কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। বিশেষ করে আমাদের সেনার উপর আমার বিশ্বাস রয়েছে।"