শেষ আপডেট: 26th July 2020 06:26
মন কি বাতে কার্গিলের শহিদদের শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী, বিজয় দিবসে টুইট অমিত শাহ, রাজনাথ সিংয়েরও
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১৯৯৯ সালে আজকের দিনেই কার্গিলে পাকিস্তানের সেনার বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল ভারতীয় সেনা। ৫২৭ জওয়ানের বলিদানের পরে পাওয়া এই জয়কে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করা হয় প্রতি বছর। এ বছর বিজয় দিবসে কার্গিলের বীর শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের মন কি বাত অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন মোদী। সেইসঙ্গে টুইট করে বিজয় দিবসে জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকেও। এবছর বিজয় দিবসের ২১ তম বর্ষপূর্তি। এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিজয় দিবসের প্রসঙ্গ তুলে আনেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, কার্গিলের এই লড়াইয়ে জেতা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ অনেক প্রতিকূলতাকে হারিয়ে আমরা জিতেছিলাম। তিনি বলেন, “পাকিস্তান আমাদের ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে ভারতের জমি অধিকার করতে চেয়েছিল। নিজেদের দেশের অভ্যন্তরীন সমস্যা থেকে সবার মুখ ঘোরাতেই এই কাজ করেছিল তারা। কিন্তু ২১ বছর আগে আজকের দিনে আমাদের সেনারা কার্গিলের লড়াইয়ে জিতেছিলেন। পাকিস্তানের খারাপ অভিসন্ধির জবাব দিয়েছিলেন আমাদের সেনারা।” কার্গিলের বীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, এই বীর যোদ্ধাদের গল্প পড়তে। তাহলে এই কঠিন সময়ে মনে সাহস বাড়বে বলেই জানান তিনি। সেইসঙ্গে দেশের জন্য যাঁরা প্রাণ বলিদান দেন, তাঁদের দিকে সবসময় সরকারের নজর থাকবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। এদিন ভারতীয় সেনার বীর সন্তানদের টুইটারে সম্মান জানান অমিত শাহ, রাজনাথ সিং। হিন্দিতে টুইট করে শাহ বলেন, “কার্গিল বিজয় দিবস ভারতের আত্মসম্মান, বীরত্ব ও নেতৃত্বের পরিচয় দেয়। যাঁরা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে কার্গিলের খাড়া পাহাড় থেকে শত্রুদের হারিয়েছিলেন, সেইসব জওয়ানদের আমি মাথা নত করে সম্মান জানাই। যাঁরা মাতৃভূমির জন্য নিজেদের বলি দেন, সেইসব হিরোদের জন্য আমাদের দেশ গর্বিত।” অন্যদিকে রাজনাথ সিং টুইট করে বলেন, “ভারতের সংস্কৃতি, সেনাবাহিনী, তাদের বীরত্ব ও বলিদানকে আমরা এইদিনে সম্মান জানাই। আমাদের সেনাবাহিনীর অদম্য সাহস ও দেশাত্মবোধ ভারতের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। কার্গিল জয়ের ২১ তম বর্ষপূর্তিতে আমি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীর জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে চাই। যাঁরা সবথেকে কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। যুদ্ধে আহত হওয়ার পরেও বিভিন্ন ভাবে দেশের সেবা করছেন তাঁরা। তাঁদেরও সম্মান জানাই।”