দ্য ওয়াল ব্যুরোঃ লাদাখে ভারত ও চিন দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। বার বার আগ্রাসী মনোভাব নিচ্ছে লাল ফৌজ। তার মাঝেই এবার সংসদে কেন্দ্র জানাল, গত ৬ মাসে ভারত-চিন সীমান্তে কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।
সংসদে বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ অনিল আগরওয়াল লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন, গত ৬ মাসে কি পাকিস্তান ও চিনের তরফে অনুপ্রবেশের ঘটনা বেশি ঘটেছে? আর যদি তা ঘটে থাকে তাহলে তা আটকাতে কেন্দ্রের তরফে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবেই কেন্দ্রের তরফে একথা বলা হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, পাকিস্তানের তরফে বারবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে। কেন্দ্রের কাছে তার তালিকাও রয়েছে। এপ্রিল মাসে সবথেকে বেশি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে গত ৬ মাসে ভারত-চিন সীমান্তে কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।
কেন্দ্রের এই মন্তব্যে পরিষ্কার, চিনের তরফে বারবার আগ্রাসী মনোভাব নেওয়া হলেও যাতে কেউ ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেছে ভারতীয় সেনা। তাই কোনও ধরনের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।
মঙ্গলবার সংসদে নিজের বক্তব্যে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার অনেক চেষ্টা করেছিল চিনা সেনা। কোংকা লা, গোগরা ও প্যাঙ্গং লেকের উত্তর এলাকা দিয়ে এইসব অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা প্রতিহত হয়েছে। কেউ যেন আমাদের সেনাবাহিনীর মানসিকতা, সাহস, দেশের প্রতি ভালবাসা ও কর্তব্যপরায়ণতা নিয়ে সন্দেহ না করেন।”
অবশ্য ভারত-চিন সীমান্তের অবস্থা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি কেন্দ্র। অগস্ট মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইটে বলা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনা আগ্রাসন বেড়েছে। বিশেষ করে গালওয়ান উপত্যকায় ৫ মে থেকে আগ্রাসন বেড়েছে। ১৭ ও ১৮ মে কুংরাং নালা, গোগরা ও প্যাঙ্গং লেকের উত্তর এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে তারা। যদিও দু’দিনের মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে সেই তথ্য মুছে ফেলা হয়।
১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার উপর চিনা সেনার হামলার পরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিরোধীরা। কেন্দ্রের তরফে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “চিন আমাদের সীমান্তে ঢুকতে পারেনি ও কোনও পোস্টও দখল করতে পারেনি। দেশকে রক্ষা করার জন্য তৎপর আমাদের সেনা। সীমান্তে আমাদের সেনার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। দেশকে প্রতিরক্ষা করতে তারা সমর্থ।” যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা শোনা যায় বিরোধীদের মুখে।