শেষ আপডেট: 28th October 2019 13:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো : সরকারের আইনকে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অসমের অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ( এআইইউডিএফ ) নেতা তথা সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল। বললেন, আইনের তোয়াক্কা করি না। মুসলিমদের যত খুশি বাচ্চার জন্ম দিক। সম্প্রতি দুই সন্তান নীতিতে সিলমোহর দিয়েছে অসম মন্ত্রিসভা। পাশ হওয়ার পর আইন হিসেবে তা বলবত করা হয়েছে। এই আইনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের পর যে সমস্ত দম্পতির দুইয়ের বেশি সন্তান থাকবে তাদের সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, এখন যারা সরকারি চাকরি করছেন, তাদেরও খেয়াল রাখতে হবে যাতে দুইয়ের বেশি সন্তান না হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে গিয়েই এই মন্তব্য করেন বদরুদ্দিন। এআইইউডিএফ সাংসদ আজমল বলেন, "বিজেপি সরকার এমনিতেই মুসলিমদের চাকরি দেয় না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাই আমরাও বিজেপি সরকারের এই নীতি মানব না। এভাবে আইন করে আল্লাহর পাঠানো কাউকে পৃথিবীর আলো দেখা থেকে আটকানো উচিত নয়। আটকানো যাবেও না।" তিনি আরও বলেন, "মুসলিমরা দুই সন্তান নীতিতে বিশ্বাস করে না। বিজেপি সরকারের কাছে আমার কোনও প্রত্যাশাও নেই। তাই আমি মুসলিম ভাই-বোনদের বলব, আপনারা যত খুশি বাচ্চার জন্ম দিন। কোনও আইন আপনাদের আটকাতে পারবে না। ওরা নিজেরাই শিক্ষিত হয়ে নিজেদের কর্মসংস্থান করে নেবে।" বদরুদ্দিনের এই মন্তব্যের প্রতবাদ করেছে বিজেপি ও কংগ্রেস। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ধরনের কথা বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন বদরুদ্দিন। এতে রাজ্যের ও দেশের শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। সরকার সবার ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির কথা মাথায় রেখেই এই আইন নিয়ে এসেছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, বদরুদ্দিনের মতো নেতারা সব কিছুর সঙ্গে ধর্মকে জুড়ে দেন। এতে লাভ হয় বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দলের। এতে সাধারণ মানুষের কোনও উন্নতি হয় না। তবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা অবশ্যই জরুরি। নইলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে। পড়ুন ‘দ্য ওয়াল’ পুজো ম্যাগাজিন ২০১৯–এ প্রকাশিত গল্প