লালুর বউমার বিস্ফোরক অভিযোগ, ওঁরা খেতে দেন না, অত্যাচার করে, ঘর থেকে বার করে দিয়েছে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একদিকে বন্যায় ভাসছে পাটনা। অন্য দিকে যদবকূলে অশান্তির আগুন।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর ঘরোয়া বিবাদ নতুন নয়। কিন্তু রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত যা চলল,
শেষ আপডেট: 30 September 2019 06:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একদিকে বন্যায় ভাসছে পাটনা। অন্য দিকে যদবকূলে অশান্তির আগুন।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর ঘরোয়া বিবাদ নতুন নয়। কিন্তু রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত যা চলল, তা নজিরবিহীন। একেবারে কলতলার কাজিয়া।
গতকাল বিকেল থেকেই বাড়ির উঠোনে একটি শেডের নীচে বসে ছিলেন লালুর বড় ছেলের বউ ঐশ্বর্য রায়। সেখান থেকেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তাঁর উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তাঁর শাশুড়ি রাবড়ি দেবী, তেমনই রয়েছেন ননদ তথা আরজেডি-র রাজ্যসভার সাংসদ মিসা ভারতী।

লালুর পুত্রবধূর অভিযোগ, তাঁকে খেতে দেওয়া হয় না। রোজ নির্মম অত্যাচার চলে তাঁর উপর। সাংসদ ননদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনিই বিয়ে ভাঙতে চাইছেন। শাশুড়ির বিরুদ্ধে ঐশ্বর্য বলেছেন, “উনিই আমায় ঘর থেকে ছুড়ে বাইরে ফেলে দিয়েছেন।”
যদিও মিসার বক্তব্য, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি পাটনার ওই বাড়িতে আলেকালে যান। তাঁকে অযথা এই অশান্তির মধ্যে জড়ানো হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ছুটতে হয় পুলিশকে। বন্যা ডিঙিয়ে ১০ নম্বর সার্কুলার রোডে যাদব ভবনে ছুটতে হয় আরজেডি নেতা এমএস রায়কে।
লালুপ্রসাদ যে শেডের নীচে সভা করতেন, অনেক রাত পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন ঐশ্বর্য। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের সামনে তেজপ্রতাপের স্ত্রী বলেন, গত কয়েক মাস ধরে ননদের নির্দেশেই তাঁকে খেতে দেওয়া হচ্ছে না। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই সাংসারিক অশান্তি শুরু হয় তেজ-ঐশ্বর্যর। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও রুজু করেন লালু-পুত্র।
২০১৭-র ডিসেম্বর থেকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে রয়েছেন লালুপ্রসাদ। ঐশ্বর্য বলেছেন, আজ যদি শ্বশুরমশাই বাড়িতে থাকতেন, তাহলে এই দিন আসত না। তিনি অনেক কিছু সমাধান করে দিতেন। পুলিশি হস্তক্ষেপে অবশেষে মধ্যরাতে বাড়িতে ঢোকানো হয় ঐশ্বর্যকে।
কারও জানতে বাকি না থাকলেও, এতদিন পর্যন্ত যাদব বংশের ঘরোয়া অশান্তি ঘরেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু রবিবার তা নেমে এল উঠোনে।