পিছু হঠল কেরল সরকার, কেন্দ্রের কড়া চিঠির পরই লকডাউন শিথিলের নির্দেশিকা প্রত্যাহার
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত কয়েকদিন ধরেই কেরলে সংক্রমণের হার কমছে। তারপরই দক্ষিণের রাজ্যটির বাম সরকার আজ সোমবার থেকে হটস্পট নয় এমন দুটি এলাকায় পরীক্ষামূলক ভাবে হোটেল, রেস্তোরাঁ, বইয়ের দোকান খোলায় অনুমতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। একইসঙ্গে জোড়-বিজোড় নম
শেষ আপডেট: 20 April 2020 08:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত কয়েকদিন ধরেই কেরলে সংক্রমণের হার কমছে। তারপরই দক্ষিণের রাজ্যটির বাম সরকার আজ সোমবার থেকে হটস্পট নয় এমন দুটি এলাকায় পরীক্ষামূলক ভাবে হোটেল, রেস্তোরাঁ, বইয়ের দোকান খোলায় অনুমতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। একইসঙ্গে জোড়-বিজোড় নম্বর মডেলে গণপরিবহণ চালানোয় অনুমতি দেয় পিনারাই বিজয়ন সরকার। এরপরই রবিবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কড়া চিঠি পাঠায় কেরল সরকারকে। সেই চিঠির চাপেই লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠল কেরল সরকার।
প্রথমে পিনারাই বিজয়ন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও পরে বয়ান বদল করে কেরল প্রশাসন। বলা হয়, ভুল বুঝাবুঝি হওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। জারি করা নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেরল।
গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, আজ ২০ এপ্রিল থেকে কিছু ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে লকডাউন শিথিল করা হবে। কী কী ক্ষেত্রে কী কী শর্ত মেনে কাজ করা যাবে তার পূর্ণাঙ্গ তালিকাও প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
কেন্দ্রের তরফে কেরলকে বলা হয়েছে, রাজ্যগুলি কখনওই নিজের মতো করে লকডাউন শিথিল করতে পারে না। প্রত্যেক রাজ্যকেই কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। প্রসঙ্গত, অর্থনীতির চাকা কিছুটা যাতে গড়ায় এবং তা যাতে সমস্তরকম সতর্কতা মেনে হয় তাই বলা হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকায়। দিল্লি যে তালিকা দিয়েছে তাতে হোটেল বা গণপরিবহণ লকডাউনের আওতার বাইরে নেই। যার ফলে কেরল সরকারের এ হেন সিদ্ধান্ত নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয় দিল্লি।
অনেকের বক্তব্য, সংক্রমণের রেখাচিত্র নিম্নমুখী হতেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেরল সরকার। যা আরও বড় বিপর্যয় ঘটিয়ে দিতে পারত। তাঁদের মতে, গণপরিবহণ চালু হওয়া মানে এক এলাকার লোক বিনা বাধায় অন্য এলাকায় পৌঁছে যেত। তার ফলে নতুন করে সংক্রমণ ছাড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিতে পারত।