শেষ আপডেট: 7th April 2020 14:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনাভাইরাসের কোনও উপসর্গই দেখা যায়নি তাঁদের মধ্যে। বাইরে থেকে আসায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনেও থেকেছেন দু’জন। আর কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড কাটানোর পরেই কোভিড ১৯ পজিটিভ এল তাঁদের রিপোর্টে। এই ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে কেরল সরকারকে।
জানা গিয়েছে, দু’জনেই কেরলের পাথানমথিত্তার বাসিন্দা। একজনের বয়স ৬০। অন্যজনের বয়স ১৯। এই ঘটনা জানার পরে দু’জনকেই বর্তমানে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার আগে তাঁদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন, তার খোঁজ করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ৬০ বছরের ওই বৃদ্ধ ১৯ মার্চ দুবাইয়ের শারজা থেকে তিরুবনন্তপুরমে আসেন। তারপর বাসে করে নিজের বাড়ি যান। ১৯ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তিনি। তাঁর মধ্যে করোনার কোনও উপসর্গই ছিল না। অন্যদিকে দিল্লির ওই ১৯ বছরের ছাত্রী ১৭ মার্চ এর্নাকুলম এসে পৌঁছন। তারপর বাসে করে বাড়ি আসেন। তিনিও এসে হোম কোয়ারেন্টাইনেই ছিলেন। কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরেই তাঁদের একবার টেস্ট করে দেখা হয়। আর সেখানেই পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
পাথানমথিত্তার জেলাশাসক পি বি নুহ জানিয়েছেন, “এটা খুবই চিন্তার বিষয়। যেহেতু তাঁদের মধ্যে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না, সেহেতু সাধারণ মানুষ তাঁদের সংস্পর্শে আসার আগে বিশেষ চিন্তা করবেন না। তারমধ্যে কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড কাটানোর পরে তাঁদের শরীরে ভাইরাস ধরা পড়েছে। তার মানে এখনও আমাদের সতর্ক হয়ে চলতে হবে।”
বৃদ্ধ ও ছাত্রী কোন পথে বাড়ি ফিরেছিলেন তার রুট ম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। এই ম্যাপ দেখে যদি কেউ বুঝতে পারেন যে তাঁরা দু’জনের সংস্পর্শে এসেছেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাথানমথিত্তার জেলা মেডিক্যাল অফিসার এ এন শিজা জানিয়েছেন, “যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের আমরা একাধিকবার পরীক্ষা করে দেখছি। কারণ একবার পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও পরের বার যে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। আর তাই এই সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।”