দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী মাসে জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সেই নির্বাচন পিছিয়ে গেল। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, উপত্যকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে এখনও যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তাই এই অবস্থায় নির্বাচন করা সম্ভব নয়। জম্মু-কাশ্মীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার পরেই এই নির্বাচন সম্ভব বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধেবেলা উপত্যকার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিবৃতি দিয়ে জানান, তাঁকে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে জম্মু-কাশ্মীরের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছে অনেক তথ্য রয়েছে। এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে অশান্তি হতে পারে। কোনওভাবেই তা হতে দেওয়া যায় না। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হওয়ার পরেই এই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দেওয়া হবে।
জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি ও মেহবুবা মুফতি জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি ছিল। তারমধ্যেই উপত্যকার উপর থেকে স্পেশ্যাল স্ট্যাটাস তুলে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয়। তারপরে গত বছর নভেম্বর মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল জম্ম-কাশ্মীরে। কিন্তু ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপির মতো দল সেই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় প্রায় ১২ হাজার পদ ফাঁকা ছিল। সেই ফাঁকা পদগুলি ভরার জন্যই ফের নির্বাচন হওয়ার কথা। সেটাই ফের পিছিয়ে গেল।
এদিকে মঙ্গলবারই ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি ও কংগ্রেস জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছে, তাদের নেতাদের যদি মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। কারণ শুধু নির্বাচনে অংশ নিলেই তো হবে না, প্রার্থী বাছাই থেকে প্রচার সব ক্ষেত্রেই শীর্ষনেতৃত্বকে দরকার। কিন্তু এই আবেদনের জবাবে কী বলা হয়েছে তা জানা যায়নি।
গত বছর অগস্ট মাসে জম্মু-কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকেই একাধিক নেতা-নেত্রী আটক রয়েছেন। তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। বিরোধীরা বারবার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু তারপরেও মুক্তি হয়নি তাঁদের। এই অবস্থায় ফের পিছিয়ে গেল উপত্যকার পঞ্চায়েত নির্বাচন।