দ্য ওয়াল ব্যুরো: জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক টুইট করেছিলেন, ১৫ জন অ-মুসলিম পড়ুয়াদের তিনি পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিয়েছেন। এই টুইট ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। অবশেষে সেই অধ্যাপককে সাসপেন্ড করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
জামিয়া মিলিয়ার ওই অধ্যাপকের নাম ডক্টর আব্রার আহমেদ। বুধবার তিনি একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “আমার সব ছাত্র-ছাত্রীরা পাশ করেছে, খালি ১৫ জন অ-মুসলিম ছাড়া। তাদেরকে আবার পরীক্ষায় বসতে হবে। যদি তোমরা আন্দোলন কর, তাহলে আমার সমর্থনে ৫৫ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে। যদি তোমাদের আন্দোলন শেষ না হয় তাহলে সংখ্যাগুরুরা তোমাদের শিক্ষা দেবে।”
এই টুইট সামনে আসার পরেই শুরু হয় সমালোচনা। কী ভাবে এই ধরণের ধর্মীয় উত্তেজনামূলক কথা তিনি বললেন, তার সমালোচনা করতে থাকেন সবাই। চাপে পড়ে নিজের টুইটটি মুছেও ফেলেন আব্রার। কিন্তু তারপরেও শেষরক্ষা হয়নি।
বৃহস্পতিবার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, “ডক্টর আব্রার আহমেদ টুইটারে লিখেছেন তিনি ১৫ জন অ-মুসলিম পড়ুয়াদের ফেল করিয়েছেন। এই ধরনের কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ধর্মীয় শান্তি নষ্ট করতে পারে। তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও মতেই মেনে নেবে না। তাই ওই অধ্যাপককে সাসপেন্ড করা হল। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।”
এই ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সমর্থনে আব্রার বলেন, তাঁর কথার ভুল মানে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “এটা পুরোটাই একটা স্যাটায়ার ছিল। কী ভাবে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে সংখ্যালঘুদের নিশানা করা হচ্ছে সেটাই একটু অন্যভাবে বোঝাতে চেয়েছিলাম আমি। সম্প্রতি এই ধরনের কোনও পরীক্ষাও হয়নি। আর শেষ সেমেস্টারে আমার সব ছাত্র-ছাত্রীই পাশ করেছে।”
আব্রার আরও বলেন, “আমি খালি একটাই ভুল করেছি টুইটারের অল্প শব্দসংখ্যার মধ্যে অনেক চিন্তা একসঙ্গে প্রকাশ করতে গিয়েছি। তাই আসল মানেটা কেউ বুঝতেই পারেনি। ১২ বছর ধরে আমি অধ্যাপনা করছি। আজ অবধি একজন পড়ুয়াও এটা বলতে পারেনি, আমি কোনও ভেদভাব দেখিয়েছি। তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে। আশা করি সত্যিটা সবার সামনে শিগগির বেরিয়ে আসবে।”