শেষ আপডেট: 22nd August 2020 04:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজধানীতে বড় নাশকতার ছক বানচাল করল দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। এনকাউন্টারের পরে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইসিসের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। তার কাছ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। শুক্রবার গভীর রাতে এনকাউন্টারের পরে ওই আইসিস সদস্য দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের হাতে ধরা পড়ে বলে খবর। জানা গিয়েছে, দিল্লির ধৌলা কুয়া এলাকায় পুলিশের বিশেষ দলের সঙ্গে এনকাউন্টার হয় ওই যুবকের। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় তাকে। তার কাছ থেকে দুটি ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেগুলি একটি প্রেশার কুকারের মধ্যে রাখা ছিল বলে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের না, আবু ইউসুফ খান। সে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল যে শুক্রবার রাতে ধৌলা কুয়া ও করোল বাগের মধ্যে আইসিস সদস্যের কিছু গতিবিধি রয়েছে। সেইমতো তৈরি ছিল পুলিশ। তারা আগে থেকেই সেখানে জাল বিছিয়ে রাখে। সেই জালে পা দেয় আবু। তারপরেই শুরু হয় এনকাউন্টার। সেনাবাহিনীর স্কুলের সামনে এই গুলির লড়াই চলে। মোট ৫ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের ডেপুটি কমিশনার প্রমোদ কুশওয়াহ বলেন, “কিছুক্ষণ গুলি বিনিময়ের পরে ওকে গ্রেফতার করা হয়। আবু একাই ছিল। লোন উল্ফ কায়দায় দিল্লিতে নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল তার। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও দুটি আইইডি উদ্ধার হয়েছে। এখনও আবুকে জেরা করাব হচ্ছে। দিল্লিতে এই কাজে তাকে কে সাহায্য করছিল, সেই খোঁজ করা হচ্ছে।” সম্প্রতি আইসিস জঙ্গি দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বেঙ্গালুরুর এক মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। ২৮ বছরের আব্দুর রহমান বেঙ্গালুরুর এমএস রামাইয়া মেডিক্যাল কলেজে কাজ করে। আইসিসের শাখা সংগঠন ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স বা আইএসকেপি জঙ্গিদলের সঙ্গে তার যোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি মেডিক্যাল অ্যাপলিকেশন তৈরি করছিল রহমান, যাতে আহত আইসিস সদস্যদের সহজে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। তার সঙ্গে কিছু অস্ত্র তৈরি করার ব্যপারেও যুক্ত ছিল রহমান। চলতি বছর মার্চ মাসে দিল্লির জামিয়া নগরের ওকলা বিহার থেকে জাহানজাইব সামি ওয়ানি ও হিনা বশির বেগ নামের এক কাশ্মীরি দম্পতিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল। জেরায় ওই কাশ্মীরি দম্পতি জানায় তারা আইসিসের শাখা সংগঠন আইএসকেপির সদস্য। ভারতে নাশকতার ছক ছিল তাদের। আইসিসের আবু ধাবি মডিউলের এক সদস্য আবদুল্লাহ বাসিথের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল। আবদুল্লাহ বাসিথকেও গ্রেফতার করে এনআইএ। তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছে সে।