শেষ আপডেট: 19th August 2020 02:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর মার্চ মাস থেকে ভারত সরকার আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রেখেছে। মাঝে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা শুরু হলেও এখনও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু হয়নি। তার মধ্যেই অনেক দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পরিষেবা শুরু করার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। বর্তমানে বিশ্বের ১৩টি দেশের সঙ্গে কথা চলছে, এমনটাই জানালেন ভারতের অসামরিক বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। মঙ্গলবার একথা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দ্বিপাক্ষিক এই পরিষেবা শুরু হওয়ার জন্য একটি এয়ার বাবল চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে দু’দেশকে। অসামরিক বিমানমন্ত্রী বলেন, এই দেশগুলি ছাড়া ভারতের কয়েকটি পড়শি দেশ, অর্থাৎ শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, ভূটানের সঙ্গেও কথা চলছে। ইতিমধ্যেই জুলাই মাস থেকে সাতটি দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল শুরু করেছে ভারত। এই দেশগুলি হল, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কাতার ও মলদ্বীপ। মঙ্গলবার টুইটারে অসামরিক বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, “আমরা এই পরিষেবা আরও বাড়াতে চাইছি। আমরা এই মুহূর্তে আরও ১৩টি দেশের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের এয়ার বাবল চুক্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দেশগুলি হল, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, জাপান, নিউজিল্যান্ড, নাইজিরিয়া, বাহরিন, ইজরায়েল, কেনিয়া, ফিলিপিন্স, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইল্যান্ড।” হরদীপ সিং পুরী আরও জানান, যে ১৩ টি দেশের কথা বলা হয়েছে, সেগুলি ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে এই দ্বিপাক্ষিক পরিষেবা শুরু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। তিনি বলেন, “সবসময় আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল বিদেশে থাকা প্রতিটি ভারতীয়র কাছে সাহায্যের জন্য পৌঁছনো। কেউ যেন বাদ না পড়েন সেটা দেখা।” গত ২৩ মার্চ থেকে ভারতে সব রকমের বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দু’মাস বন্ধ থাকার পরে ২৫ মে থেকে শুরু হয় অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা। যদিও তার সংখ্যা এমনি সময়ের থেকে কম। তাছাড়া প্রতিটি বিমানে যাত্রীর সংখ্যাও আগের তুলনায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ নেওয়া হচ্ছে। ভারতে করোনা সংক্রমণের একটা বড় প্রভাব এই বিমান পরিষেবার উপর পড়েছে। অনেক বিমানসংস্থাকে কর্মী ছাঁটাই ও বেতনে কাটছাঁট করতে হয়েছে। দু’একটি বেসরকারি সংস্থা তো এই সময়ের মধ্যে নিজেদের পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। পরিষেবা ফের শুরু হলেও লোকসানেই চলছে একাধিক সংস্থা। তাই এই পরিষেবা যতটা সম্ভব বাড়ানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। তাই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে কেন্দ্র।