শেষ আপডেট: 25th July 2020 02:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পূর্ব লাদাখের যে এলাকায় ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘাত হয়েছিল, সেই এলাকা থেকে পুরোপুরি সেনা সরাতে রাজি হয়েছে ভারত ও চিন দু’দেশই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে। জানানো হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ও দু’দেশের সামগ্রিক উন্নতির জন্য সীমান্তে শান্তি থাকা খুবই জরুরি। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। তার আগে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনা চলছিল। এই আলোচনায় জানানো হয়, এর আগে গত ১৪ জুলাই সেনার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেই অনুযায়ী সেনা সরানোর কাজ হয়নি। তাই ফের একবার বৈঠকে বসতে হচ্ছে। কিন্তু এবারের বৈঠকে নাকি দু’দেশই জানিয়েছে, সেনা তারা সরিয়ে নেবে। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দু’দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনা সরানো হবে। কিন্তু কী ভাবে এই সেনা সরানো হবে, তা নিয়ে দু’দেশের সেনার উচ্চপর্যায়ের একটা বৈঠক খুব তাড়াতাড়ি বসবে। সেখানেই এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “যত দ্রুত সম্ভব পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সীমান্ত এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে চিন রাজি হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী যাতে পুরো শান্তি বজায় থাকে ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নতি হয়, তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ৫ জুলাই থেকে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরের আলোচনা চলছে। অবশেষে এতদিনে এসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই গত ৫ জুলাই প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে ফোনে কথা বলেন। সেই আলোচনাতেই পূর্ব লাদাখে দু’দেশের সেনার মধ্যে সংঘাত ও সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন নিয়ে আলোচনা হয়। তারপরেই ৬ জুলাই থেকে কূটনৈতিক স্তরের আলোচনা শুরু হয় দু’দেশের মধ্যে। ভারতের তরফে অজিত ডোভাল ও চিনের তিরফে ওয়াই ই ছিলেন এই বৈঠকের বিশেষ প্রতিনিধি। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অবশেষে শুক্রবার দু’দেশই সিদ্ধান্ত নেয় যে এতদিন দু’দেশের মধ্যে সেনার উচ্চপর্যায়ের যে বৈঠক হয়েছে, সেই সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করতে হবে। তারপরেই দু’দেশ সিদ্ধান্ত নয়, খুব তাড়াতাড়ি ভারত ও চিন সেনার উচ্চপর্যায়ের আরও একটি বৈঠক হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কী ভাবে ও কখন সেনা সরাবে দু’দেশ। সেই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত যেন কার্যকর হয় ও সীমান্তে শান্তি বজায় থাকে, সেই বিষয়ে দু’দেশকেই সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে।