দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পরেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। আগাম আঁচ না করতে পারায় কোনও প্রতিরোধ গড়তে পারেনি পাকিস্তান। সেই বিষয়ে ফের একবার মুখ খুললেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে। বললেন, বুদ্ধি থাকলে যুদ্ধ ছাড়াও শত্রুকে খতম করা যায়।
মঙ্গলবার একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, “বালাকোটে আমাদের বায়ুসেনা যে হামলা চালিয়েছিল তার আগাম আঁচ পাকিস্তানের ছিল না। ওরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের যুদ্ধবিমান কাজ শেষ করে দেশে ফিরে যায়। এর থেকেই পরিষ্কার বুদ্ধি থাকলে যুদ্ধ ছাড়াও শত্রুপক্ষকে খতম করা যায়।”
নারাভানে আরও বলেন, “জঙ্গিরা বারবার দেখায় লুকিয়ে কী ভাবে হামলা করতে হয়। আমরা ওদের বলে দিতে চাই, আমরা সামনে থেকে লড়াই করি। কিন্তু দরকার পড়লে কৌশল নিয়েও আক্রমণ করতে পারি। অতীতেও আমরা তার পরিচয় দিয়েছি। ভবিষ্যতেও দেব।”
কয়েক দিন আগে এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদোরিয়াও এই ব্যাপারে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেন, “বালাকোটের এই হামলা সম্পূর্ণ ভাবনা চিন্তা করেই করা হয়েছিল। আমরা যেটুকু চেয়েছিলাম, সেটাই করেছি। এই হামলা বায়ুসেনার মাধ্যমে হামলা করার তথাকথিত চিন্তাভাবনাকে ভেঙে দিয়েছে।”
ভাদোরিয়া আরও বলেন, “আমরা বালাকোটে দ্বিগুণ সংখ্যক যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ বোমা ফেলতে পারতাম। তাতে হয়তো আরও জঙ্গি মারা যেত। কিন্তু তার সঙ্গে সাধারণ মানুষেরও প্রাণহানি হতে পারত। সেটা আমরা চাইনি। আমরা খালি জঙ্গিদের মারতে চেয়েছিলাম। আর তাতে আমরা সফল হয়েছি।”
গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলা হয়। এতে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। তার ঠিক ১২ দিন পরে অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান বালাকোটে গিয়ে জইশ জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে আসে। পরের দিন অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি পাক বায়ুসেনার এফ ১৬ যুদ্ধবিমান ভারতে আক্রমণ করতে এলে ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের মেরে তারায়। এই সময় উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের মিগ ২১ যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে। পাক সেনার হাতে বন্দি হন তিনি। ৬০ ঘণ্টা পাকিস্তানের জেলে কাটিয়ে দেশে ফেরেন অভিনন্দন।