শেষ আপডেট: 16th March 2020 16:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে পর্যটন শিল্পেও। এতদিন বিদেশি পর্যটকদের সিকিম ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এবার নিষেধাজ্ঞা জারি হল দেশি পর্যটকদের জন্যও। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী এক মাস সিকিমে কেউ বেড়াতে যেতে পারবেন না। সেইসঙ্গে সিকিমের সব পাব, রেস্তোরাঁ, শপিং মল, সিনেমা হলও বন্ধ থাকবে এই এক মাস। অধিকাংশ পর্যটকদেরই পছন্দের তালিকায় নাম থাকে সিকিমের। গ্যাংটক-সহ একাধিক জায়গায় ঘুরতে যান দেশ-বিদেশের মানুষ। কিন্তু বর্তমানে ইচ্ছে থাকলেও বাতিল করতে হচ্ছে পরিকল্পনা। যাঁরা ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়েছেন, তাঁদের দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং কিংবা ডুয়ার্সে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই সমতল থেকে অনেকে কাজের জন্য গ্যাংটকে যান। সিকিমে ঢোকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরাও সমস্যায় পড়েছেন। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আশঙ্কা করোনা ভাইরাসের প্রভাব যদি আরও বেশি হয়, তাহলে কঠিন সমস্যার মুখে পড়তে হবে তাঁদের। নাথুলার জন্য পারমিট বন্ধ। কবে ফের সিকিম পর্যটনের জন্য খোলা হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। আশঙ্কার সঙ্গে আতঙ্কও দানা বেঁধেছে সিকিম বাসীর মনে। একবার এখানে করোনা ছড়িয়ে পড়লে তার প্রভাব খুব খারাপ হতে পারে। কারণ গোটা সিকিমে গ্যাংটক ছাড়া ভাল চিকিৎসার ব্যবস্থা কোথাও নেই। ফলে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং ( গোলে ) সবাইকে সুরক্ষিত থাকার আবেদন জানিয়েছেন। পর্যটনের এই দুর্দিনে বিকল্প ব্যবস্থার আবেদন জানিয়েছে পর্যটন সংস্থাগুলি। তাদের দাবি, যদি করোনা ভাইরাসের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হয়, তাহলে সরকারের উচিত এখনই বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি রাখা। সোমবার হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক ( এইচএইচটিডিএন ) সংগঠনে সদস্যরা দেখা করেন কেন্দ্রের পর্যটন মন্ত্রকের আঞ্চলিক অধিকর্তা ( পূর্ব ) সাগ্নিক চৌধুরীর সঙ্গে। জানা গিয়েছে, আঞ্চলিক অধিকর্তার মাধ্যমে কেন্দ্রের কাছে চার দফা দাবি পেশ করেছেন তাঁরা। সেখানে জানানো হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে পর্যটন শিল্প থেকে জিএসটি মুকুব করা হোক। যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতে কর্মীদের আর্থিক অনুদানেরও দাবি করেছেন তাঁরা। পর্যটন শিল্প থেকে কর্পোরেট ছাড়েরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “এই মুহূর্তে ব্যবসার থেকে জীবনটা আগে। যেভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে শুধু পর্যটন নয়, সব ব্যবসাতেই তার প্রভাব পড়বে। সরকারের উচিত বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি রাখা। এই বিষয়ে আমরা দার্জিলিংয়ের সাংসদের সঙ্গেও কথা বলব। আমরা এর আগে পাহাড়ে ১০৭ দিনের বনধ সামলে উঠেছি। আশা করছি, এই ধাক্কাও সামলে আমরা ঘুরে দাঁড়াব।”