দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা সংক্রমণের থাবা এবার রাজনীতির দুনিয়াতেও। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল তামিলনাড়ুর বিধায়ক তথা ডিএমকে নেতা জে আনবাঝাগানের। চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে বুধবার সকালে মৃত্যু হয় ৬১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদের।
জানা গিয়েছে, গত ২ জুন করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে ওই বিধায়কের। সেইসঙ্গে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রমেও ভুগছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করার পরের দিনই অবস্থা খারাপ হয় আনবাঝাগানের। সঙ্গে সঙ্গে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয় তাঁকে। চেন্নাইয়ের ডক্টর রেলা ইনস্টিটিউট অ্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা চলছিল ওই বিধায়কের।
আনবাঝাগানের মৃত্যুর পরে হাসপাতালের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, "কিছুদিন আগে হৃদযন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয় বিধায়কের। তাঁর জন্য একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু দিন দিন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। বুধবার সকাল থেকে অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। অনেক চেষ্টার পরেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।"
ডিএমকে বিধায়কের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইডিএমকে নেতা ই পালানিস্বামী। শোকপ্রকাশ করেছেন ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন। তিনদিনের জন্য দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সব দলীয় সভাও বাতিল করা হয়েছে।
আনবাঝাগান ডিএমকের বহু পুরনো সদস্য। দলের অত্যন্ত বিশ্বস্ত অনুচর ছিলেন তিনি। করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর পরে জায়গায় জায়গায় গিয়ে ত্রাণের কাজও করেছেন তিনি। এভাবেই সংক্রামিত হন বিধায়ক। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে স্ট্যালিন বলেছেন, "মানুষের সেবায় নিজের জীবনের বলিদান দেওয়া আনবাঝাগানকে আমি কী ভাবে ভুলব। আমার ভাই আনবাঝাগান। ফের কবে তোমার সঙ্গে আমার দেখা হবে।"
মহারাষ্ট্রের পরেই দেশে আক্রান্তের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪,৯১৪। মৃত্যু হয়েছে ৩০৭ জনের। রাজ্যে সংক্রমণ মোকাবিলায় পালানিস্বামী সরকার ব্যর্থ বলে সুর চড়িয়েছে ডিএমকে। নিজেদের দলের বিধায়কের মৃত্যুর পর সেই বিরোধিতা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।