শেষ আপডেট: 29th July 2020 03:30
'মাওবাদী যোগে' গ্রেফতার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যুক্ত ছিলেন ভিমা-কোরেগাঁও আন্দোলনে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারভারা রাও, গৌতম নাভালকাররা এখনও জেলে। এর মধ্যে ভিমা-কোরেগাঁও মামলায় ১২ তম গ্রেফতার করে ফেলল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি এনআইএ। মঙ্গলবার রাতে মাওবাদী যোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি বিভাগের অধ্যাপক হ্যানি বাবু মুসালিয়ারভিত্তিল তারাইলকে। আজ, বুধবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে। ধৃত অধ্যাপক উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের বাসিন্দা। রাতে এনআইএ-এর টিম বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে তাঁকে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ভিমা-কোরেগাঁও এলাকায় এক দলিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গোলমাল হয়েছিল। দক্ষিণপন্থী একটি গোষ্ঠী এবং দলিতদের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এই ঘটনার পরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ন’জন মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে এলগার পরিষদ মামলা রুজু হয়। অভিযোগ, এলগার পরিষদের সঙ্গে সরাসরি নকশালপন্থী তথা নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীদের যোগ রয়েছে। এনআইএ-এর তরফে বলা হয়েছে, ধৃত অধ্যাপক সরাসরি মাওবাদীদের মতাদর্শ প্রচার করতেন। ভিমা-কোরেগাঁওয়ে অন্যতম ষড়যন্ত্রী ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, মাওবাদীদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। এর আগে একপ্রস্থ চার্জশিট জমা দিয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। তাতে পুলিশ অভিযোগ করে, ওই কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। যদিও এ বিষয়ে কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ এখনও হাজির করতে পারেনি পুলিশ। ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে পুণের পুলিশ প্রথম গ্রেফতার করেছিল কবি তথা সমাজকর্মী ভারভারা রাওকে। তবে আদালতের নির্দেশের পরে সে বার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল প্রমাণের অভাবে। ওই বছরের নভেম্বরে তাঁকে ফের গ্রেফতার করা হয়। তা ছাড়াও একাধিক বিদ্ধিজীবী, আইনজীবী, অধ্যাপক এই মামলায় অভিযুক্ত। ভারভারা রাও জেলবন্দি অবস্থাতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর। তার মধ্যে বৃদ্ধ কবির শরীরে করোনা সংক্রমণও ধরা পড়েছে। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে নানাবতী হাসপাতালে। এর মধ্যেই রাওয়ের পরিবার অভিযোগ করেছে তাঁর কোনও খবর হাসপাতাল জানাচ্ছে না। এ নিয়ে মানবাধিকার কমিশনেও চিঠি লিখেছে তাঁর পরিবার। এর মধ্যেই গ্রেফতার করা হল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে। https://twitter.com/KapilSibal/status/1288317281697554432 অধ্যাপকের গ্রেফতার নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। টুইট করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিব্বল লিখেছেন, "আইকনিক! অধ্যাপক নকশালপন্থী আর যারা 'গোলি মারো শালে কো' বলল তারা জাতীয়তাবাদী!"