দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন এক সিআরপিএফ জওয়ান। জখম হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের দুই কর্মীও। সোমবার রাতে শ্রীনগরের নাওয়াকাদাল এলাকায় এনকাউন্টার শুরু হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে তাদের কাছে খবর ছিল যে শ্রীনগরের নাওয়াকাদাল এলাকায় গা-ঢাকা দিয়েছে বেশ কয়েকজন কুখ্যাত জঙ্গি। সেই সূত্র ধরেই সোমবার রাতে যৌথ অভিযান চালায় সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। কানেমাজার এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর উপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। সেই সময়েই এক সিআরপিএফ জওয়ান এবং দু’জন পুলিশকর্মী আহত হন।
ওই এলাকায় এখনও কয়েকজন জঙ্গি গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে অনুমান করছে নিরাপত্তাবাহিনী। তাই জারি রয়েছে এনকাউন্টার। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে শ্রীনগরে। তবে ৩ জওয়ান এবং ২ পুলিশকর্মীর আহহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও জঙ্গিদের তরফে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েক সপ্তাহ আগেই দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিজের গ্রাম বেইঘপোরায় খতম হয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের কুখ্যাত কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকু। ভারতীয় সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সমবেত এনকাউন্টারে দীর্ঘ ৮ বছর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকার পর খতম হয়েছে এই কুখ্যাত জঙ্গি। উপত্যকায় সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের ত্রাস ছিল এই রিয়াজ নাইকু। তার মৃত্যুর পর স্বভাবতই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের অনুমান ছিল যে এবার হয়তো খানিক শান্ত হবে উপত্যকা।
তবে জম্মু ও কাশ্মীরে হিজবুলের নয়া চিফ গাজি হায়দার এবং তার আর এক সহযোগী তারেক ভাইয়ের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়েছে উপত্যকা। দক্ষিণ কাশ্মীরের পাশাপাশি উপত্যকার অন্যান্য অংশ থেকেই জঙ্গি কার্যকলাপের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিদের গা-ঢাকা দেওয়ার খবর পেয়ে অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনীও। শ্রীনগরের নাওয়াকাদাল এলাকাতেও কোন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা ঠাঁই নিয়েছে সে ব্যাপারে খোঁজ চালাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।