শেষ আপডেট: 7th January 2021 12:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইতিমধ্যেই দুটি কোভিড ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল। এবার এই ভ্যাকসিনকে যাতে সুষ্ঠুভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে রূপরেখা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। খুব শিগগির এই ভ্যাকসিন পরিবহণের কাজ শুরু হবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র সূত্রে খবর, দেশের বিভিন্ন অংশের ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি খসড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই খসড়া ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামীকালের মধ্যেই এই ভ্যাকসিন পরিবহণের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কীভাবে এই ভ্যাকসিন পরিবহণ হবে তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও পরিবহণ মন্ত্রক মিলে ঠিক করেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এই ভ্যাকসিন মজুত করার কেন্দ্র বা হাব হিসেবে ঠিক করা হয়েছে পুণেকে। এর একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ কারণ হল এখানে সেরাম ইন্সটিটিউটের কারখানা রয়েছে। আর এই সংস্থা সবথেকে বেশি ডোজ তৈরি করে। তাই পুণে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হবে ভ্যাকসিন। জানা গিয়েছে, যাত্রীবাহী বিমানের পেটে করেই এই ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হবে। পুণে বিমানবন্দর যেহেতু ভারতীয় বায়ুসেনার অধীনে রয়েছে তাই এই ভ্যাকসিন পরিবহণের কাজে তারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পুণে প্রধান কেন্দ্র হলেও দেশে অনেকগুলি ছোট ছোট হাব তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন নিয়ে গিয়ে রাখা হবে। এই ভ্যাকসিনের পরিবহণের জন্য দেশের ৪১টি বিমানবন্দরকে গন্তব্য হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অসামরিক বিমান মন্ত্রক সূত্রে খবর, উত্তর ভারতের জন্য দিল্লি ও কার্নালকে ভ্যাকসিনের মিনি হাব করা হয়েছে। পূর্ব ভারতের জন্য কলকাতা ও গুয়াহাটি হল মিনি হাব। উত্তর-পূর্ব ভারতের নোডাল পয়েন্ট হিসেবেও ব্যবহার করা হবে গুয়াহাটিকে। দক্ষিণ ভারতের মিনি হাব হল চেন্নাই ও হায়দরাবাদ। এই পরিবহণের বিষয়ে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থা, অসামরিক বিমান মন্ত্রক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। কোন কোন বিমানবন্দর থেকে কবে কোথায় ভ্যাকসিন পাঠাতে হবে সেই সব পরিকল্পনাও ছকা। এখন শুধু ভ্যাকসিন পরিবহণের কাজ শুরু হওয়া বাকি বলেই খবর।