শেষ আপডেট: 16th February 2021 06:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্যাঙ্গং রেঞ্জের ফিঙ্গার পয়েন্ট ৫ থেকে যাবতীয় যুদ্ধ সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে চিনের বাহিনী। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর মিলেছে এমনটাই। ফিঙ্গার পয়েন্ট ৫ প্যাঙ্গং হ্রদের উত্তর সীমা বরাবর রয়েছে। ওই এলাকায় নিজেদের জেটি ও হেলিপ্যাডও বানিয়ে ফেলেছিল লাল ফৌজ। সেসব কাঠামোও খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর। চুসুল সীমান্তে নবমতম সেনা কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরেই সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে সম্মতি দেয় দুই দেশই। সেই মাফিক সেনা পিছনো বা ডিসএনগেজমেন্টের প্রক্রিয়া চলছে। প্যাঙ্গং হ্রদের পশ্চিম দিক বরাবর ফিঙ্গার পয়েন্ট ২ থেকে ফিঙ্গার পয়েন্ট ৩ রেঞ্জ অবধি ধ্যান সিং ধাপা পোস্টে ফিরে যাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। অন্যদিকে, চিনের সেনা ফিঙ্গার পয়েন্ট ৮ থেকে পিছু হটতে শুরু করেছে। ফিঙ্গার পয়েন্ট থেকে ফিঙ্গার পয়েন্ট ৮ অবধি এলাকায় ১০ কিলোমিটার অবধি বাফার জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শোনা গিয়েছে, ফিঙ্গার ৪ ও ফিঙ্গার ৫ এলাকায় বাঙ্কার, জেটি ভেঙে দিয়েছে চিনের সেনা। উত্তর ও দক্ষিণ প্যাঙ্গং থেকে যুদ্ধট্যাঙ্ক, হাউইৎজার কামানও সরিয়ে নিচ্ছে দুই দেশ। প্যাঙ্গং হ্রদের দক্ষিণ তীরে কৈলাস পার্বত্য অঞ্চলের চুসুল সেক্টর থেকেও যাবতীয় সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, গালওয়ানের ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট যেখানে দুই দেশের বাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল, সেখান থেকে ধাপে ধাপে সেনা সরাতে রাজি হয়েছে দুই দেশই। তবে দেপসাং ভ্যালি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। প্যাঙ্গং রেঞ্জের পরে এই দেপসাং ভ্যালিতেই নজর চিনের সেনার। তাই সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে রেখেছে ভারত। আধুনিক যুদ্ধট্যাঙ্ক ও মিসাইলও মোতায়েন করে রেখেছে ভারতের বাহিনী। গত এপ্রিল-মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ঢিল ছোড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে রয়েছে দু’দেশের সেনা। ঘটেছে একাধিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এর আগে একাধিকবার সেনা সরিয়ে নেওয়া বা ডিসএনগেজমেন্টের কথা বলেছিল দুই দেশই। চিন সেনা সরানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা হয়নি। বরং সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করে ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করেছে। তবে শেষবারের বৈঠকের পরে চিন দাবি করেছে, দু’পক্ষই দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করার প্রশ্নে সম্মত হয়েছে। গোগরা হটস্প্রিং ও গালওয়ান উপত্যকা থেকে ২ কিমি করে মোট ৪ কিলোমিটার এলাকায় তৈরি হবে বাফার জ়োন। ওই এলাকায় টহল দিতে পারবে না কোনও দেশের বাহিনীই। সামরিক অস্ত্রও মোতায়েন করা যাবে না।