শেষ আপডেট: 31st March 2020 10:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য দিল্লির বিভিন্ন মহল্লা তথা এলাকায় সরকারের তরফেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে দেওয়া হয়। তেমনই এক মহল্লা ক্লিনিকের চিকিৎসক আক্রান্ত হলেন নোভেল করোনাভাইরাসে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই রকমের মহল্লা ক্লিনিকের কোনও চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হলেন। জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লির বাবরপুর এলাকার এক ক্লিনিকের চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। গত ১২ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে যাঁরা তাঁর কাছে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন, তাঁদেরকে আগামী ১৫ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই চিকিৎসক সম্প্রতি বিদেশে গিয়েছিলেন, নাকি বিদেশ থেকে আসা কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। কয়েক দিন আগে এই বাবরপুর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে মৌজপুরে এমন এক ক্লিনিকের চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। সেই চিকিৎসকের স্ত্রী ও তাঁর কিশোরী মেয়েও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই খবর পাওয়ার পরেই ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা ৯০০ রোগীকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মৌজপুরের ওই ক্লিনিকে করোনা সংক্রমণ হয় সৌদি আরব থেকে আসা এক মহিলার মাধ্যমে। সৌদি থেকে ফিরে ১০ মার্চ ওই ক্লিনিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে যান ওই মহিলা। তখনই ওই চিকিৎসকের দেহেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক দিন পরে ওই মহিলারও কোভিড-১৯ রেজাল্ট পজিটিভ আসে। তারপরেই ওই চিকিৎসককে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সৌদির ওই মহিলার থেকে আরও পাঁচজনের শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। তাঁর মা, বাবা, দুই মেয়ে ও এক আত্মীয়র শরীরেও এই ভাইরাস ধরা পড়েছে। সবাই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। গত দু’দিনে দিল্লিতে ৫০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, মহল্লা ক্লিনিক বন্ধ করা হবে না। নাহলে গরিব মানুষরা চিকিৎসা পাবেন না। বড় হাসপাতালে যাওয়ার সামর্থ্য তাঁদের নেই। কিন্তু মহল্লা ক্লিনিকেও সবরকমের সুরক্ষা নিতে হবে। তারমধ্যেই এক সপ্তাহের মধ্যে দু’জন চিকিৎসক আক্রান্ত হলেন করোনাভাইরাসে।