শেষ আপডেট: 2nd September 2020 03:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনা আগ্রাসন বজায় রয়েছে। বারবার ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে তারা। যদিও ভারতীয় সেনা তার জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের অন্যান্য সীমান্তেও যাতে কোনও রকমের উত্তেজনা তৈরি না হয়, তার জন্য নজরদারি জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। সেইমতো সব সীমান্তে নির্দেশও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তরখাণ্ড ও সিকিমে ভারত-নেপাল সীমান্তে অতিরিক্ত নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অনেক এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “লাদাখের চুসুল এলাকায় চিনা আগ্রাসন ভারতের দৃষ্টি সেদিকে আটকে রাখার একটা পরিকল্পনাও হতে পারে। তাই সব সীমান্তে নজরদারির দায়িত্ব থাকা বাহিনীকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” সূত্রের খবর, নেপালের উপর প্রভাব খাটিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা করতে পারে চিন। এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সশস্ত্র সীমা বল ও ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশকে সব রকমের খবরাখবর দিচ্ছে। সিকিমের ট্রাই-জাংশান এলাকা, অর্থাৎ যেখানে ভারত, চিন ও তিব্বত মিলেছে, সেই এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ন বলে জানানো হয়েছে। ডোকলামের দক্ষিণে রয়েছে এই এলাকা। ২০১৭ সালে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে এই ডোকলামেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভারতীয় সেনার। উত্তরাখণ্ডের কালাপানি এলাকাতেও সেনাকে অতিরিক্তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সশস্ত্র সীমা বলকে নির্দেশ দিয়েছে নজরদারি বাড়ানোর। এই বাহিনী ইন্দো-নেপাল ও ভুটান সীমান্তে নজর রাখে। উত্তরাখণ্ড ও সিকিমের ট্রাই-জাংশান এলাকায় অতিরিক্ত ৮০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও খবর। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীর থেকে সম্প্রতি যে বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, সেই বাহিনীকেই এই এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হচ্ছে। গত দু’মাস ধরে সশস্ত্র সীমা বলের সঙ্গে নেপাল গার্ডিং ফোর্সের মাঝেমধ্যেই ছোটখাটো সংঘাত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের পিলভিট এলাকায় কিছুদিন আগে তার কাঁটাতার পেতেছে নেপাল। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “পিলার ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে এই কাঁটাতার পেতেছে নেপাল। এই নিয়ে তাদের সরকারের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে কেন্দ্র।” কারণ ভারত ও নেপালের মধ্যে সীমান্ত হল মুক্ত। পিলার দিয়েই নিজেদের মধ্যে সীমানা আলাদা করেছে দু’দেশ। পিলভিট এলাকায় প্রায় ৫৩ কিলোমিটার লম্বা সীমান্তে এই তার দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ভারতের পশ্চিমেও বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্সকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কারণ, চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কও খুব ভাল। তাই দুই দেশের মধ্যে কোনও পরিকল্পনা হয়ে থাকতে পারে। গত সপ্তাহে জম্মু সেক্টরে সীমান্তের কাছে ২০ মিটার লম্বা একটি সুড়ঙ্গ দেখা গিয়েছে। তারপর থেকেই অতিরিক্ত সক্রিয় রয়েছে সেনা।