শেষ আপডেট: 1st August 2020 06:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃদ্ধাশ্রমের ছোট্ট ঘরে আটকে রাখা হয়েছে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ১৯ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে। তাঁদের নাকি মারধরও করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ পেয়ে দিল্লির ওই বৃদ্ধাশ্রমে হানা দেয় প্রশাসন। উদ্ধার করা হয়েছে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের। বৃদ্ধাশ্রমের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরেই দিল্লির নাংলোই এলাকার একটি এনজিও পরিচালিত বৃদ্ধাশ্রমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছিল। ওই বৃদ্ধাশ্রমে আবাসিকদের ঠিকমতো দেখভাল করা তো দূর, তাঁদের একটা ছোট্ট ঘরে জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। এমনকি তাঁদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ পায় প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দিল্লির নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী রাজেন্দ্র পাল গৌতম ও দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল আচমকা ওই বৃদ্ধাশ্রমে হানা দেন। সঙ্গে ছিল পুলিশ। এভাবে অতর্কিতে হানা দিতেই ছবিটা সামনে আসে। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধাশ্রমের মধ্যে একটি ছোট্ট ঘরের মধ্যে ১৯ জনকে আটকে রাখা হয়েছিল। ঘরের অবস্থা নাকি খুবই খারাপ। শুধু তাই নয়, গোটা বাড়িটিই নাকি খুবই নোংরা ও খারাপ অবস্থায় রয়েছে। যে ঘরে ১৯ জনকে রাখা হয়েছিল, তা লাগোয়া বাথরুমের হালও নাকি খুবই খারাপ। এই অবস্থা দেখে মন্ত্রী ওই ১৯ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তাঁদের আপাতত সরকার পরিচালিত অন্য একটি বৃদ্ধাশ্রমে রাখা হয়েছে। প্রত্যেকের শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই করোনার আবহে যেখানে বাড়ি থেকে শুরু করে জেল, সব জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে, সেখানে ওই বৃদ্ধাশ্রমে কোনও রকমের সুরক্ষা নেওয়া হয়নি। এতে একজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ালে তা বাকি সবার মধ্যে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারত।
এই ঘটনার পরে ওই এনজিও-র বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজেন্দ্র পাল গৌতম। তিনি জানিয়েছেন, কোনও ভাবেই যেন দোষীরা ছাড়া না পায় তা দেখা হবে। রাজধানীর সব বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথ আশ্রমগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুদের দেখাশোনায় যেন কোনও গাফিলতি না করা হয়। নইলে সরকার পদক্ষেপ নেবে বলেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।