শেষ আপডেট: 26th May 2020 02:09
ভারত মহাসাগরের নীচে সুবিশাল টেকটনিক প্লেটে ফাটল, হতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারত মহাসাগরের তলদেশে থাকা সুবিশাল মহাদেশীয় পাতের মধ্যে ফাটল দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি প্যারিসের ইনস্টিটিউট অফ আর্থ ফিজিক্সের গবেষকরা জানিয়েছেন এমনটাই। জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স নামের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই রিপোর্ট। এছাড়াও লাইভ সায়েন্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি রিপোর্টেও বলা হয়েছে এই সুবিশাল টেকটনিক প্লেটে চিড় ধরেছে। ভারত মহাসাগরের নীচের এই ক্যাপ্রিকর্ন টেকটনিক প্লেট অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছে। গবেষণা বলছে ক্রমশ ভেঙে দু’খণ্ড হয়ে যাচ্ছে এই মহাদেশীয় পাত। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর প্রায় ০.০৬ ইঞ্চি বা ১.৭ মিলিমিটার করে দূরে সরে যাচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে এই গতি অত্যন্ত ধীর হলেও উদ্বিগ্ন রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর জেরে অদূর ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর কোনও ভূমিকম্প কিংবা সাংঘাতিক কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আজ থেকে ৮ বছর আগে ২০১২ সালে ভারত মহাসাগরের নীচে দুটি জোরালো ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে এই দুটি কম্পনের মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৮.৬ এবং ৮.২। ইন্দোনেশিয়ার কাছাকাছি উপকূলে হওয়া এই ভূকম্পের জেরে মারা গিয়েছিলেন ১০ জন। আহত হয়েছিলেন আরও অনেকে। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ক্যাপ্রিকর্ন টেকটনিক প্লেট বরাবর হোয়ারটন বেসিনে হওয়া এই দুই জোরালো ভূকম্পের জেরেই প্লেটের মধ্যে এই ফাটল ধরেছে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ভারত মহাসাগরের অতলে এই পরিবর্তন অনেকসময়েই নজরে রাখতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায় ভারত মহাসাগরের এতটা নীচে এই পরিবর্তন হচ্ছে এবং এত ধীরে এই টেকটনিক প্লেট ভাঙছে যে অনেকসময় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সেটা ধরা পড়ছে না। তবে গতি যতই কম হোক আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, যে গতিতে এই দুই প্লেট একে অন্যের থেকে আলাদা হচ্ছে, কিংবা ফাটল বা চিড় ধরছে তাতে এক মাইল দূরত্ব যেতে ১০ লক্ষ বছর লাগবে। কিন্তু তাতেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে জলের অনেক গভীরে সব পরিবর্তন হওয়ায় নজরদারিতে সমস্যা অনেক বেশি। তাই অদূর ভবিষ্যতে ঠিক কী বিপর্যয় আসতে চলেছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা।