শেষ আপডেট: 20th February 2020 07:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সবার সামনে চিকিৎসককে চড় মারেন মৃতার এক আত্মীয়। হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, বুধবার সকালে সিজার করে সন্তান হয় হাওড়ার তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা পিঙ্কি ভট্টাচার্যের। পরিবারের দাবি, সন্তান জন্মের পরে ভালই ছিলেন পিঙ্কি। পরিবারের সবার সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। কিন্তু বুধবার রাতে হাসপাতালের তরফে ফোন করে তাঁদের জানানো হয় পিঙ্কির অবস্থা খারাপ। রক্ত দিতে হবে। গতকাল রাতেই ফের হাসপাতালে যান পিঙ্কির বাড়ির লোকেরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের জানানো হয়, পিঙ্কির মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের গাফিলতিতেই পিঙ্কির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সেই দায় নেওয়া তো দূর, উল্টে পরিবারের কাছে হাসপাতালের বিল মেটানোর জন্য নাকি চাপ দেন চিকিৎসক ও কর্মীরা। প্রসূতির মৃত্যুর কারণও তাঁরা নাকি বলতে চাননি। তখনই মাথা গরম করে চিকিৎসককে সপাটে এক চড় মারেন মৃতার আত্মীয়। বচসা শুরু হয় দু'তরফে। উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালে। পরিবারের দাবি, এখনকার দিনে সিজার করতে গিয়ে কেউ মারা যেতে পারেন না। এটা সম্পূর্ণ হাসপাতালের গাফিলতি। তাই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। অবশ্য হাসপাতালের তরফে পিঙ্কির পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যুই হয়েছে পিঙ্কির। চিকিৎসকেরা অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বাঁচাতে পারেননি। কিন্তু তাঁদের কথা না শুনেই রোগীর বাড়ির লোকেরা চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীদের উপরে চড়াও হন। এমনকি হাসপাতালে ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। রোগীর পরিবার ও হাসপাতালের তরফে একবালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতালে দায়ের করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, তার জন্য তৈরি রয়েছে পুলিশ।