শেষ আপডেট: 19th July 2019 11:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাতৃদুগ্ধ পান করছে ছোট্ট হরিণ ছানা। তবে ওই হরিণ শাবককে স্তন্য পান করাচ্ছেন এক মহিলা!
রোগা-পাতলা গড়নের এক মহিলা। পরনে স্থানীয় পোশাক। বুকের কাছে আঁকড়ে ধরে আছেন ছোট্ট একটি হরিণ ছানা। পরম মমতায় স্তন্য পান করাচ্ছেন তাকে। চোখ বুজে হরিণটিও রয়েছে বেশ আরামে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ও যে নিরাপদ কোল খুঁজে পেয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত। মাতৃস্নেহ যে সব জায়গাতেই এক, তা আবারও প্রমাণ করলেন যোধপুরের 'বিশনোই' সম্প্রদায়ের এই মহিলা।
আইএফএস অফিসার প্রবীণ কাসওয়ান সম্প্রতি এই ছবি শেয়ার করেছেন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে। লিখেছেন, এইসব পশুরা বিশনোই সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে সন্তান সম। নিজের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে এদের কোনও পার্থক্য করেন না তাঁরা। সেই সম্প্রদায়েরই এক মহিলা পরম মমতায় স্তন পান করাচ্ছেন একটি হরিণ শাবককে। এঁরা সেই সম্প্রদায়, যাঁরা খেজুর গাছ বাঁচাতে ১৭৩০ সালে রাজার সঙ্গে যুদ্ধ করে বলিদান দিয়েছিলেন ৩৬৩টি তাজা প্রাণ।
নেট দুনিয়ায় এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই এসেছে হাজার হাজার লাইক এবং কমেন্ট। আবেগে ভেসেছেন নেটিজেনরা। সকলেই বলছেন, একজন আদর্শ মায়ের মতোই কাজ করেছেন এই মহিলা। অনেকেই বলছেন, "গ্রামের মানুষ গৃহপালিত পশুদের পরম যত্ন করেন এ কথা জানা। তবে নিজের সন্তান ভেবে কোনও বন্যপ্রাণীকে স্তন্য পান করানোর ঘটনা নজিরবিহীন। মহিলা ঈশ্বরসম। এবং একজন আদর্শ মা-ও বটে।" কেউ বা বলছেন, "পৃথিবীতে এত হিংসা-হানাহানির মধ্যেও যে মানবতা বজায় আছে, এই দেহাতি মহিলা তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন। সকলকে চোখে আঙুল দিয়ে সকলকে দেখিয়ে দিলেন সত্যিই পশুপ্রেম কাকে বলে।"
পশুপ্রেম সম্পর্কে বিশনোই সম্প্রদায়ের উদাহরণ আরও রয়েছে। রাজস্থানের বিখ্যাত কৃষ্ণসার হরিণকে ঈশ্বর রূপে পুজো করেন এই সম্প্রদায়ের মানুষরা। আর সেই হরিণকেই মেরে ফেলেছিলেন অভিনেতা সলমন খান। তাই তাঁর কড়া শাস্তির দাবি তুলেছিলেন এই সম্প্রদায়ের মানুষরা।