শেষ আপডেট: 12th August 2018 07:04
বাড়বে নিয়মানুবর্তিতা, বিহারের সব সরকারি স্কুলে বাধ্যতামূলক প্রার্থনা সঙ্গীত
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এ বার থেকে প্রতিটি সরকারি স্কুলে সকালে প্রার্থনা সঙ্গীত গাইতে হবে। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে বিহার সরকার। বিহারের শিক্ষা মন্ত্রকের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি আর.কে মহাজন ৯ অগস্ট একটি নির্দেশিকা জারি করে সব ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার ও ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রাম অফিসারদের এই নয়ম দ্রুত বলবৎ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মুহূর্তে বিহারে সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের সংখ্যা ৭৬ হাজার। সব স্কুলে এই নিয়ম চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রার্থনা সভার নাম দেওয়া হয়েছে 'চেতনা সত্র' বা 'প্রার্থনা সভা'। কিন্তু হঠাৎ কেন এই ধরণের নির্দেশিকা? আর.কে মহাজনের বক্তব্য, সবাই মিলে একসঙ্গে একই সময়ে প্রার্থনা সঙ্গীত গাইলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা ও সময়ের কদর করার শিক্ষা গড়ে ওঠে। ফলে আরও ভালো মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষা পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতর থেকে জানানো হয়েছে বিভিন্ন ধরণের বিহারি গান যেমন, 'মেরি রফতার পে সুরয কি কিরণ নাজ করে', কিংবা 'তু হি রাম হ্যায়, তু রহিম হ্যায়' এই সব গান প্রার্থনা সভাতে গাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে খালি গলায় নয়, রীতিমতো লাউড স্পিকারে বাজবে এই গান। যাতে প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রী স্পষ্ট শুনতে পায় ও গাইতে পারে। কিন্তু সব স্কুলে তো লাউড স্পিকার নেই। শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেকটি সরকারি স্কুল উন্নয়ন খাতে যে টাকা পায় সেখান থেকেই লাউড স্পিকার কিনতে হবে। কোনও স্কুলে লাউড স্পিকার খারাপ হয়ে গেলে তা সারানোর জন্যও স্কুলের উন্নয়ন খাতের টাকা ব্যবহার করা যাবে। আর.কে মহাজন আরও জানান, প্রতিটি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সংখ্যার উপর নির্ভর করে প্রতিটি স্কুলকে ১২ হাজার ৫০০ থেকে ১ লক্ষ পর্যন্ত টাকা অনুদান দেওয়া হবে সরকার থেকে। তবে যদি কোনও স্কুল সময়ের মধ্যে প্রার্থনা সভার নিয়ম বলবৎ করতে না পারে তাহলে সেই স্কুল সরকারি অনুদান পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন তিনি।