শেষ আপডেট: 26th November 2018 06:50
অসমে পঞ্চায়েত ভোট: বাংলা থেকে প্রচারে যাচ্ছেন এক ঝাঁক তৃণমূল নেতা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নেতাজি ইনডোরে দলের সাধারণ পরিষদের বর্ধিত বৈঠক থেকে বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। ডিসেম্বরের ৫ এবং ৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে চলা উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের পঞ্চায়েতের প্রচারে এক ঝাঁক নেতা-নেত্রী যাচ্ছেন বাংলা থেকে। এমনিতেই অসম নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচিতে রয়েছে। জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের সময় বিজেপি-র বিরুদ্ধে বাঙালি খেদানোর অভিযোগ তুলে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন মমতা। অসম প্রশাসন শিলচর বিমানবন্দরের বাইরে সেই প্রতিনিধি দলকে পা রাখতে দেয়নি ঠিক কথা, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জলকে দিল্লি পর্যন্ত গড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। বিশপদের সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে গৃহমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে দেখা করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন দিদি। তখন থেকেই একটা জমি তৈরি করার চেষ্টায় ছিল তৃণমূল। এরপর অসমের তিনসুকিয়ায় পাঁচ বাঙালি খুনের পর বিজেপি-র বিরুদ্ধে বাঙালি বিদ্বেষের সেই সুরকে সপ্তমে তোলে বাংলার শাসক দল। ডেরেক ও’ব্রায়েন, মমতাবালা ঠাকুরদের পাঠানো হয় নিহত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। পর্যবেক্ষকদের মতে, গত কয়েকমাস ধরে আন্দোলনের ধারাবাহিকতাই অসমের মাটিতে ১০টি জেলায় পঞ্চায়েতে লড়ার সাহস জুগিয়েছে তৃণমূলকে। অনেকের মতে, এটা তো শুধু অসমের পঞ্চায়েত নয়, তৃণমূল আসলে বার্তা দিতে চাইছে বাংলার মানুষকেও। বাঙালিদের রক্ষায় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল লড়াই করবে সেই বার্তাও দিয়ে দেওয়া হচ্ছে উনিশের ভোটের আগে। এমনিতে সর্বভারতীয় তৃণমূলের তরফে অসমের দায়িত্বে ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু আগামী ৩ তারিখ যেহেতু ফিরহাদ কলকাতার মেয়র পদে শপথ নেবেন, তাই তিনি যাচ্ছেন না প্রচারে। বাংলা থেকে যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, সাংসদ শতাব্দী রায়, মমতা বালা ঠাকুর, বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীরা। ১-৩ ডিসেম্বর অসমে তিনটি জনসভা করবে তৃণমূল।