শেষ আপডেট: 26th June 2020 10:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১৬ জনের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিহারে মারা গিয়েছেন অন্তত ৯২ জন। আর উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৪ জনের। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বিহারে মৃতের সংখ্যা ছিল ৮৫। তবে এদিন সকালে তা বেড়ে হয়েছে ৯২। বিহারের মৌসম ভবনের তরফে নতুন পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে বাজ পড়ায় ১২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ, এই দুই রাজ্য মিলিয়ে আহতের সংখ্যা ৩২। মৃত এবং আহতের সংখ্যা সর্বাধিক বিহারের গোপালগঞ্জ জেলায়। এই বাজ পড়ার জেরে প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাড়িঘর এবং চাষের জমিতেও। বিহারে বর্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রপাত-সহ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। তাতেই একাধিক জায়গায় ঘটেছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজস্থান থেকে বিহার পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দখিনা বাতাসে ভর করে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকছে পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। যার জেরে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিহারের গোপালগঞ্জ ছাড়াও মধুবনী ও নওয়াদা, ভাগলপুর ও সিওয়ানে, দ্বারভাঙা ও পূর্ব চম্পারণ জেলাতেও বাজ পরে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও খাগরিয়া ও আওরঙ্গাবাদ, জহানাবাদ, কিষাণগঞ্জ, পশ্চিম চম্পারণ, যমুই, পূর্ণিয়া, সুপৌল, কাইমুর ও বাক্সার এবং সরণ, শিবহর, সমতীপুর, মধেপুরা ও সীতামারীতেও মারা গিয়েছে বেশ কয়েকজন। বিহারের দ্বারভাঙায় মৃতদের মধ্যে তিন জন শিশুও রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এমনটা যে একেবারেই নতুন তা নয়। সংখ্যায় এত জনের মৃত্যু হওয়াটা বিরল হলেও, গত বছর এই বিহারেই বাজ পড়ে একদিনে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই বছরই কয়েক দিন আগে-পরে বিহারেই বজ্রাপাতে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। তবে, ২০১৬ সালের জুন মাসে এ রাজ্যে বাজ পড়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্ততপক্ষে ৫৭ জনের প্রাণ গিয়েছিল। সেই আতঙ্কের স্মৃতিই যেন ফিরে এল এ বছর। পরিসংখ্যান বলছে, এ দেশে প্রতি বছরই বাজ পড়ে কয়েকশো মানুষ মারা যান নানা রাজ্যে।