দ্য ওয়াল ব্যুরো: কঠিন বোলারের সামনে বিপক্ষ টিমের উইকেট যেমন একের পর এক পড়তে থাকে, ঠিক তেমনই হাল হয়েছে টিম 'হাউজফুল-৪'-এর। একের পর এক অভিনেতা বলছেন এ ছবিতে আর কাজ করবেন না। #মি টু ঝড়ের দাপটে বেসামাল হাউজফুল ফ্র্যাঞ্চাইজি।
ছবির পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে উঠেছে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। আর তারপরেই একে একে কলাকুশলীরা জানিয়েছেন হাউজফুল-৪ ছবিতে সাজিদের সঙ্গে কাজ করবেন না তাঁরা। প্রথমেই দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেনে অক্ষয় কুমার। সাফ জানিয়ে দেন যতক্ষণ না সাজিদ নির্দোষ প্রমাণিত হচ্ছেন ততদিন তাঁর সঙ্গে আর কাজ করবেন না। এমনকী ছবির পরিচালনা থেকে সাজিদকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিও তোলেন তিনি। এরপরেই অক্ষয়ের সুরে সুর মেলান এই ছবির আর এক অভিনেতা রীতেশ দেশমুখ। তিনিও জানিয়েছেন সাজিদের সঙ্গে কাজ করতে চান না।
অক্ষয় এবং রীতেশের সরে দাঁড়ানোর পরেই এই ছবি থেকে হাত তুলে নেন ছবির মূল দুই অভিযুক্ত। পরিচালক সাজিদ খান এবং বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকর। প্রসঙ্গত, নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন তনুশ্রী দত্ত। আর তারপর থেকে #মি টু ঝড়ে সরগরম বলিউড। অক্ষয় এবং রীতেশ সরে দাঁড়ানোর পরেই টুইট করেন সাজিদ খান। জানান, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেই জন্য তাঁর পরিবার এবং ছবির কলাকুশলীদের উপর নানা ধরণের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তাই নৈতিক দায়েই ছবির পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। তবে সত্যিটা তিনি প্রমাণ করবেন। সাজিদের পদত্যাগের খানিক পরেই আসরে নামেন নানা পাটেকর। হাউজফুল-৪ থেকে নিজের সরে দাঁড়ানোর পিছনে কারণ হিসেবে নানা বলেছেন, এটাই নাকি টিম হাউজফুলের জন্য শ্রেয় হবে।
তবে পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি সাজিদ খানের। সালোনি চোপড়া, রেচেল হোয়াইটের পর এ বার সাজিদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিপাশা বসুও। বিপাশা জানিয়েছেন, প্রকাশ্যেই অভিনেত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল মজা করে থাকেন সাজিদ। এমনকী মহিলাদের প্রতি তাঁর আচরণ খুবই বিরক্তিকর বলেও জানিয়েছেন বিপাশা। সাজিদের আচরণে হতবাক ফারহান আখতারও। টুইট করে ফারহান জানিয়েছেন, সাজিদের এ হেন আচরণের কথা শুনে অবাক হয়ে গেছেন তিনি। এর জন্য সাজিদকে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। এমনকী সাজিদের আচরণে হতাশ হয়েছেন তাঁর বোন ফারহা খানও। ফারহা বলেন, তাঁর পরিবার খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যদি তাঁর ভাই এমন কিছু করেই থাকেন তাহলে তাঁকে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।