দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১২ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তারই তুতো ভাইয়ের (কাজিন ব্রাদার) বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরী কানে শুনতে পেত না। ছিল না কথা বলার ক্ষমতাও। কিশোরীর মা-বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে গুজরাতের বানাসকাঁথা জেলায়। সেখানকার দীসা শহরে ঘটেছে এমন মর্মান্তিক এবং নৃশংস ঘটনা।
আজ সকালেই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডিএসপি কুশল ওঝা জানিয়েছেন, দান্তিওয়াড়া তালুকের মোতি ভাখার গ্রামে একটি জনমানবশূন্য নির্জন এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে নির্যাতিতার দেহ। প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারীদের অনুমান, ধর্ষণের পর কিশোরীকে খুন করা হয়েছে। কারণ সম্ভবত অভিযুক্তকে চিনতে পেরে গিয়েছিল নির্যাতিতা। আর তাই তথ্য-প্রমাণ লোপাটের জন্য কিশোরীকে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ। রিপোর্ট হাতে এলেই সবটা স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় কিশোরীর এক তুতো ভাইয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মৃতার বাবা-মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বছর ২৫-এর এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সত্যিই সে এই ঘটনায় যুক্ত কিনা তা জানতে যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। নির্যাতিতার মা-বাবাই বা এই ছেলের বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ এনেছেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত দান্তিওয়াড়া থানায় আটক যুবককে জেরা করছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই কিশোরীকে জোর করে টেনে ওই নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়েছিল আততায়ী। তারপর তাকে ধর্ষণ করে সে। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য কিশোরীকে খুন করে দেহ ফেলে রেখে চম্পট দেয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সূত্রের খবর, ঘটনার আগে কিশোরীকে একজনের বাইকে চড়ে যেতে দেখা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে এই মুহূর্ত ধরা পড়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে বাইক চালাচ্ছে হলুদ শার্ট পরা এক যুবক। এই ফুটেজ দেখার পরই কিশোরীর এক তুতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে বোনকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ এনেছেন কিশোরীর মা-বাবা।
পুলিশ জানিয়েছে আটক যুবকের বয়ানে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই যুবকই অপরাধী প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় ধর্ষণ, অপহরণ, খুন----এইসব অভিযোগের পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা রুজু হবে।