শেষ আপডেট: 2nd February 2022 06:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জঙ্গলের ভেতরে ধরেছিল চিনের সেনারা। মাথা-মুখ কাপড়ে ঢেকে, হাত পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে গিয়েছিল ক্যাম্পে। অরুণাচলের কিশোর মিরাম তারো বললেন, কীভাবে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার চালায় চিনা সেনারা। জানুয়ারির ১৮ তারিখে আপার সিয়াং জেলার পাহাড়ি টুটিং গ্রামের বাসিন্দা ১৭ বছরের মিরাম তারোকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) বিরুদ্ধে। লুংটা জোর এলাকার জঙ্গল থেকে তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল চিনের সেনারা। সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলে প্রায়ই ভেষজ উদ্ভিদ, গাছড়া কুড়োতে যায় অরুণাচলের পাহাড়ি গ্রামগুলির কিশোর, তরুণরা। এইসব গুল্মের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক। এর আগেও অরুণাচলের পাঁচ তরুণ ভেষজ উদ্ভিদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চিনা সেনাদের খপ্পরে পড়েছিল। মিরাম বলছেন, “আমাকে দেখেই এগিয়ে আসে চিনের সেনারা। জোর করে হাত বেঁধে, মুখে একটা কাপড় পরিয়ে দেয়। দু’চোখ বেঁধে দিয়েছিল আমার। তারপর ঠেলতে ঠেলতে জঙ্গলের ভেতরে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়েছিল।“ কিশোরের দাবি, ক্যাম্পে প্রথমদিন হাত-পাঁ বেঁধে তাকে ইলেকট্রিক শক দেয় সেনারা। তার ওপর অত্যাচার চলে ঘণ্টাখানেক ধরে। তবে দ্বিতীয়দিনে তেমনভাবে নির্যাতন চালানো হয়নি বলেই দাবি কিশোরের। খাবার ও জল দেওয়া হয়েছিল তাকে। কিশোর বলছেন, চিনের ক্যাম্পে ধরে এনে নির্যাতন চালানো হয় অরুণাচলের কিশোর, তরুণদের। হাত-পা বেঁধে মারধরও করে চিনের সেনারা। ইলেকট্রিক শক তো আছেই। ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতায় প্রজাতন্ত্র দিবসের পরের দিন ওয়াচা-দামাই পয়েন্টে কিশোরকে ফিরিয়ে দিয়ে যায় চিনের সেনারা। সেখান থেকে তাকে ঘরে ফিরিয়ে আনে ভারতীয় বাহিনী।