শেষ আপডেট: 9th February 2022 04:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনার খাওয়ার ওষুধ বা ওরাল পিল এসেছে। কিন্তু ওরাল ভ্যাকসিন এই প্রথম। এতদিন সুঁচ ফুটিয়ে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। অথবা আরও উন্নত পদ্ধতি ফার্মাজেট প্রক্রিয়া সুঁচ না বিঁধিয়েই টিকার ডোজ শরীরে ঢোকানোর প্রক্রিয়া এনেছে দেশের সংস্থা ভারত বায়োটেক। এবার দেশের বাজারে আসবে করোনার ওরাল ভ্যাকসিন। সিরিঞ্জের বালাই নেই, একটা ট্যাবলেট খেলেই ভ্যাকসিনের কাজ হবে। চটজলদি সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়ার অনেক পদ্ধতিই আনছেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমান বিশ্বে করোনা থেকে রেহাই পেতে একমাত্র উপায় ভ্যাকসিন। তাছাড়া করোনার এত নতুন নতুন প্রজাতি হানা দিচ্ছে এবং এতটাই সংক্রামক যে, ভ্যাকসিনের দুটো ডোজেও নিশ্চিন্ত থাকা যাচ্ছে না। তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার শট নেওয়ার দরকার পড়ছে। শরীরে সুঁচ ফুটিয়ে ভ্যাকসিন নিতে অনীহা অনেকেরই। আতঙ্কেও ভুগছেন বহু মানুষ। তাই সহজ পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার উপায় এনেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। খাওয়ার ওষুধ বা ওরাল পিলের মাধ্যমেই শরীরে ঢুকবে ভ্যাকসিনের ডোজ। ওরাল পিল ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিতে হবে। প্রথম ট্যাবলেট খাওয়ার ২৯ দিন বাদে দ্বিতীয় ট্যাবলেট খেতে হবে। তাহলেই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার কাজ হবে। মার্কিন কোম্পানি ভ্যাক্সার্ট এই ওষুধ আনছে। আপাতত ভারতে এই ওরাল পিল ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হবে। বেঙ্গালুরুর সিনজেন ইন্টারন্যাশনাল এই ওষুধ আমদানি করছে ভারতে। ট্রায়ালের ব্যবস্থাও তারাই করবে। ওষুধের লাইসেন্স নিয়ে দেশেও তৈরি হবে ওরাল পিল ভ্যাকসিন। তার জন্য হিমাচল প্রদেশের সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবোরেটরি বরাত পেয়েছে। সেখানে ওরাল পিল ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু হবে। ওরাল ভ্যাকসিনের নাম VXA-CoV2। এই ভ্যাকসিন তৈরির উপাদান দেশের কোম্পানি সরবরাহ করা হয়েছে বলে খবর। ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল আকারে এই ভ্যাকসিন দেশের বাজারে আসবে। করোনা সারানোর আরও একটি খাওয়ার ওষুধ এসেছে দেশের বাজারে। তবে সেটি শুধু পিল, ভ্যাকসিন নয়। অ্যান্টি-ফ্লু ড্রাগ মলনুপিরাভির। ভাইরাস প্রতিরোধে কাজে আসে। দেশের ৩০টি কোম্পানি এই ওষুধ তৈরি করে। মলনুপিরাভিরের নানা গুণ আছে। করোনা প্রতিরোধেও কার্যকরী হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হয় মলনুপিরাভির। আর ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সঙ্গে সার্স-কভ-২ ভাইরাসের বিস্তর মিল রয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো করোনাও আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) ভাইরাস। আর যে কোনও সংক্রামক আরএনএ ভাইরাল স্ট্রেনকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে এই ওষুধ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে পারে বলে দাবি।