বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটে নাগাদ মা ও শিশুকে ছুটি দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। বাড়ি যাওয়ার পর শিশুর শরীরের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তাররা ওই সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 13 June 2025 07:48
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: মঙ্গলবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন রাজগঞ্জ ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভদ্রেশ্বর এলাকার বাসিন্দা সুনীতা রায়। কিছুক্ষণ পরেই একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। জন্মের পর থেকেই অসুস্থ ছিল শিশুটি। পরিবারের অভিযোগ, বারবার হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ও ডাক্তারের কাছে গেলেও তাঁরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি।
বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটে নাগাদ মা ও শিশুকে ছুটি দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। বাড়ি যাওয়ার পর শিশুর শরীরের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তাররা ওই সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই মৃত শিশুটিকে নিয়ে রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে চলে আসেন আত্মীয়রা। সেখানে হাসপাতালের ইমারজেন্সি গেটের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রাজগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে তারা বিক্ষোভ তুলে নেন। পরিবারের দাবি, জন্মের পর থেকেই শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। সে কথা তারা সিস্টারকে জানালে ডাক্তারকে ডাকতে বলেন তিনি। ডাক্তার আবার দেখিয়ে দেন সিস্টারকে। এইভাবেই টালবাহানা করে চলেছিল। চিকিৎসা হলে শিশুটিকে হারাতে হত না। সঠিক তদন্ত করে কর্তব্যরত ডাক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে পরিবার।
মাঝিয়ালী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত দত্ত বলেন, "বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তবে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে। যদি কেউ দোষ করে থাকে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।" অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এরপর পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।