শেষ আপডেট: 20th July 2024 11:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলায় মুসলিমদের নিয়ে এবার দলের সংখ্যালঘু সেলের কড়া আক্রমণের মুখে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সভাপতি জমাল সিদ্দীকির কথায়, ‘শুভেন্দু অধিকারীর কথা শুনে বোঝা যায়, মাটির সঙ্গে ওঁর কোনও সম্পর্ক নেই।’
জমাল আরও বলেন, ‘আসলে উনি পার্টিতে নতুন এসেছেন। বিজেপির সংস্কৃতির সঙ্গে এখনও পুরোপুরি অবগত নন।’ এই প্রসঙ্গে নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করেছেন ওই নেতা। সিদ্দীকি বলেন, উনি যে পার্টি থেকে এসেছেন, এখনও সেই দলের সংস্কৃতি বহন করছেন।’
বাংলায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু লোকসভা ভোটে রাজ্যে দলের খারাপ ফল নিয়ে সরাসরি মুসলিমদের দিকে আঙুল তোলেন। মুসলিম-সহ সংখ্যালঘুরা বিজেপিকে ভোট দেয়নি অভিযোগ করে দলের ভোট পর্যালোচনা বৈঠকে বিরোধী দলনেতা বলেন, সবকা সাথ-সবকা বিকাশ……স্লোগান ভুলে যেতে হবে। চাইনা সংখ্যালঘু মোর্চা।
অর্জুন সিংহের মতো দু-একজন নবাগত বিজেপি নেতা এই প্রশ্নে শুভেন্দুর পাশে দাঁড়ালেও বাকি কেউ তাঁর কথায় গলা মেলাননি। শুভেন্দু নিজেও পরে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি সংখ্যালঘুদের উপেক্ষা করতে চাননি। কিন্তু দলীয় বৈঠকে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট তিনি আসলে কী বলতে চেয়েছেন।
দলীয় সূত্রের খবর, শুভেন্দুর বক্তব্য সম্পর্কে রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন জমাল সিদ্দীকি। তারপর সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি হিসাবে মুখ খুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘সবকা সাথ-সবকা বিকাশ-সবকা বিশ্বাস-সবকা প্রয়াস’ নরেন্দ্র মোদীর স্লোগান। বিজেপির আদর্শই এই স্লোগানে তুলে ধরেছেন মোদীজি।’ সিদ্দীকি বলেন, ‘এই স্লোগান বিজেপির অর্ন্তরাত্মার বাণী।’ শুভেন্দুকে বিজেপিতে নতুন বলে উল্লেখ করে সিদ্দীকি বলেন, ‘উনি এখনও আগের দলের সংস্কৃতি ধারণ করছেন।’
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির খারাপ ফল নিয়ে দলের মধ্যে কাটাছেঁড়া চলছে। এবার প্রার্থী বাছাই থেকে প্রচার, সব ক্ষেত্রেই সামনের সারিতে ছিলেন শুভেন্দু। ফলে দলের অনেকেই খারাপ ফলের জন্য তাঁকে নিশানা করেছেন। সেই তিনি দলীয় পর্যালোচনা বৈঠকে খারাপ ফলের পুরো দায় মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দেওয়ায় অনেকেই বিরক্ত।
সিদ্দীকিও মনে করেন, খারাপ ফলের জন্য হতাশা থেকে মুসলিম এবং সংখ্যালঘু মোর্চা নিয়ে আপত্তিজনক কথা বলেছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা। সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতির কথায়, ‘ওঁর (শুভেন্দু) জানা উচিত বিজেপি শুধু ক্ষমতা দখলের জন্য রাজনীতি করে না। সমাজ, দেশের স্বার্থে রাজনীতি করে। সেই কারণে ১৯৮০ সালে বিজেপি গঠনের অল্প দিনের মধ্যেই সংখ্যালঘু মোর্চা গঠন করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দেওয়া।