Date : 10th Jul, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
একজন ৪৪, অন্যজন মাত্র ২৩! রাজস্থানে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় মৃত দুই পাইলটের পরিচয় প্রকাশ্যেপিএসজির চার তোপে পুড়ে ছাই রিয়াল মাদ্রিদ! ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে এনরিকে বাহিনী'আমি নোবেল পাওয়ার যোগ্য', দাবি কেজরিওয়ালের! বিজেপি বলছে, এর থেকে হাস্যকর কিছু হয় নাস্বাধীনতা সংগ্রামীরা ‘সন্ত্রাসবাদী’! বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ঘিরে বিতর্কগুজরাত সেতু বিপর্যয়: ১ ঘণ্টা ধরে চিৎকার করেছিলেন, নিজে বাঁচলেও স্বামী-সন্তান হারালেন মহিলাপচা খাবার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ! শিব সেনা বিধায়কের মারধরের পর লাইসেন্স বাতিল ক্যান্টিনের'মমতার নামে দুর্নীতির মামলা নেই,' দিল্লিতে বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বললেন দিলীপহাসিনাকে নিয়ে বিবিসি'র রিপোর্ট অসত্য, বিকৃত, এআই দিয়ে তৈরি, দাবি আওয়ামী লিগেরগুজরাতে সেতু ভেঙে নদীতে পড়ল গাড়ি, মৃত বেড়ে ১১, শোকপ্রকাশ ইউনুসের'২১ জুলাই এখন শহিদ দিবস নয়, হয়ে উঠেছে পিকনিক দিবস,' কটাক্ষ অধীর চৌধুরীর
Anubrata Mondal - Kajal Sheikh

মুখ খুললেই বিতর্ক! তাই কি মুখে কুলুপ আঁটলেন কেষ্ট-কাজল? কৌতূহল সব মহলে

এই ক'দিন আগে পর্যন্ত তিনি মুখ খোলা মানেই বিতর্ক অবধারিত এবং ক্ষেত্র বিশেষে প্রশ্নের আগেই উত্তর আসতো!

মুখ খুললেই বিতর্ক! তাই কি মুখে কুলুপ আঁটলেন কেষ্ট-কাজল? কৌতূহল সব মহলে

অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ।

শেষ আপডেট: 14 June 2025 09:28

দ্য ওয়াল ব্যুরো: এই ক'দিন আগে পর্যন্ত তিনি মুখ খোলা মানেই বিতর্ক অবধারিত এবং ক্ষেত্র বিশেষে প্রশ্নের আগেই উত্তর আসতো, মানে নিজে এগিয়ে এসে মিডিয়াকে বলতেন, 'বলুন, কী জানতে চান!'

অথচ শনিবার সেই অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ওরফে কেষ্ট ধরা দিলেন একেবারে অন্য মেজাজে। তথৈবচ হাল তাঁর জেলার সহকর্মী কাজল শেখও(Kajal Sheikh)। শত প্রশ্নেও 'রা' কাড়লেন না তাঁরা।

ফি-বারই ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশের আয়োজন করে তৃণমূল। এবারেও সেই সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে দলের জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের নিয়ে ভবানীপুরে বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সেখানে ডাকা হয়েছিল বীরভূম কোর কমিটির সদস্য অনুব্রত, কাজলদেরও।

জেলা রাজনীতিতে অনুব্রত এবং কাজলের রেষারেষি সর্বজনবিদিত। এদিন তাঁদের নিয়ে শুরুতে আলাদা বৈঠক করে সুব্রত বক্সী-ফিরহাদ হাকিমরা। যা নিয়ে আগে থেকেই দলের অন্যান্য নেতা, কর্মীদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। বৈঠক শেষে সেই কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দিলেন কেষ্ট-কাজল দু'জনেই। 

বিতর্ক তো দূরে থাক, ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে বীরভূম থেকে কত লোক আসবে, আপাত 'নিরীহ' এই প্রশ্নেও 'রা' কাড়েননি কেষ্ট, কাজল। যা নিয়ে কর্মীদের মধ্যেও কৌতূহল তুঙ্গে। মুখ টিপে তাঁরা বলছেন, 'বৈঠকে কী এমন বলা হল, যে দুজনেই মুখে কুলপ আঁটলেন!'

সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে অনুব্রত মন্ডলকে মাথা ঠান্ডা রাখার কথা বলেছেন বক্সী -ববিরা। একই  সঙ্গে কেষ্ট-কাজলের উদ্দেশে বলেছেন, সামনে ভোট একসঙ্গে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকলে আমাদের বলুন। কিন্তু প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে মুখ খোলা যাবে না।

তাহলে কথা না বলার কারণ কী? দলের এক নেতার কথায়, "ওরা নিজেরাও জানেন, মুখ খোলা মানেই বিতর্ক তৈরি করা। তাই সম্ভবত, চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"

সম্প্রতি বীরভূমের আইসিকে গালিগালাজ, হুমকি এবং তাঁর মা ও স্ত্রীর উদ্দেশে কদর্য ভাষা ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল কেষ্টর বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল সেই অডিও ঘিরে অস্বস্তিতে পড়ে দলও। দলের নির্দেশে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতিও দেন কেষ্ট। তবে ওই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করলেও এখনও কেন কড়া পদক্ষেপ করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তবে কেষ্ট-কাজল সত্যি কতদিন এভাবে মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন তা নিয়েও দলের অভ্যন্তরে কৌতূহল তুঙ্গে।


ভিডিও স্টোরি