শেষ আপডেট: 4th January 2022 07:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশের যে কোনও এক্সপ্রেসওয়ে (expressway) দিয়ে গাড়ি (vehicle) চালিয়ে যাচ্ছেন, তখন গাড়ির যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথিপত্র (documents) হাতের কাছে মজুত রাখতে হয়, এ তো জানা কথা। এবং সেই নথিও একেবারে আপডেটেড হওয়া চাই। গাড়ির বিমা (insurance) থেকে শুরু করে আরসি, কিছুই বাদ গেলে চলবে না। বাণিজ্যিক গাড়ি (commercial vehicle) হলে তার ফিটনেস সার্টিফিকেট (fitness certificate) রেডি রাখতে হবে। এখন তো এক্সপ্রেসওয়েতে চলা প্রতিটি গাড়ির স্ট্যাটাস সহজেই বের করা যায়। গাড়ি এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা মাত্রই ট্রাফিক পুলিশ জেনে যায়, আপনার গাড়ির কোন নথি বৈধ নয়, কোনটা বৈধ। কিন্তু জানেন কি, কাগজপত্র ঠিক না থাকলেও এবার আপনাকে গাড়ি থামাতে হবে না, আপনা থেকেই চালান কেটে নেওয়া হবে। এজন্য সরকার কিছু নয়া নিয়মকানুন চালু করছে। এ ব্যাপারে কয়েকটি এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রায়াল (trial) চালাচ্ছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বা এনএইচএআই। শোনা যাচ্ছে, সব এক্সপ্রেসওয়ে ও দেশের জাতীয় সড়কগুলিতে বসছে অ্যাডভান্সড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এটিএমএস) (atms)। গাড়ির নম্বর প্লেট থেকে শুরু করে সিট বেল্ট ঠিক আছে কিনা, সব ধরা পড়বে এতে। তার ছবি, ভিডিও উঠে যাবে। বর্তমানে পরিবহণ দপ্তরে নথিভুক্ত গাড়ির যাবতীয় রেকর্ড নতুন সিস্টেমের সঙ্গে জোড়ার কাজ চলছে। নতুন সিস্টেমে গাড়ির নম্বরের মাধ্যমেও সহজে জানা যাবে, তার বিমা, আরসি, সিএনজি কিট টেস্টিং সার্টিফিকেট বৈধ কিনা। জনৈক এনএইচএআই কর্তা জানিয়েছেন, এই সিস্টেম হবে বেশ উন্নত মানের। যেসব গাড়ির কাগজপত্র ঠিকঠাক নেই, তাদের ট্র্যাক করবে এই সিস্টেম। সব তথ্য চলে যাবে স্থানীয় স্তরে ট্রাফিক পুলিশের কাছে। তারা মনিটর করবে, কেটে নেওয়া চালানের অর্থ আদায় হয়েছে কিনা। সাধারণতঃ জাতীয় সড়ক, এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি দাঁড় করিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা করে। কিন্তু এটিএমের ট্রায়াল সফল হলে এটা আর হবে না। তবে পুলিশের চলন্ত গাড়ি থামিয়ে তদন্ত করার সীমিত ক্ষমতা থাকবে। শোনা যাচ্ছে, এটিএমে শুধুমাত্র দুর্ঘটনা ঘটানো বা কোনও অপরাধে সামিল গাড়িই থামাতে পারবে পুলিশ। কিন্তু এখন আর গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র তল্লাশি হবে না যাতে ট্রাফিক জ্যাম এড়ানো যায়। আগামীদিনে যেসব নতুন এক্সপ্রেসওয়ে হবে, সেখানেও বাধ্যতামূলক হবে এটিএম।