শেষ আপডেট: 24th April 2024 20:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাগরদ্বীপে যাতায়াতের অন্যতম বড় সমস্যা হল মুড়িগঙ্গা নদী। সেখানেই হতে চলেছে সেতু। ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা বদলে যাবে জীতায় সড়কে। যা গঙ্গাসাগরের কপিলমুণি আশ্রম, লট এইট হয়ে মূল ভূখণ্ডে কাকদ্বীপের কাশীনগরে এসে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে মিশবে।
স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটক, সকলেরই দীর্ঘদিনের মুড়িগঙ্গা সেতুর দাবি ছিল। জানা গিয়েছে, নাবার্ডের সহযোগিতায় রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (আরআইডিএফ) টাকায় এই সেতু গড়ে তুলতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর, এতদিন মূলত টাকার জোগান না থাকার কারণে আটকে ছিল এই প্রকল্পের কাজ।
জানুয়ারির শুরুতে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে দ্রুত সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এদিকে মুড়িগঙ্গা নদীর উপর এই সেতু তৈরির জন্য প্রয়োজন প্রায় এক হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। আর প্রশাসনের মতে, রাজ্যের পক্ষে একলপ্তে এই পরিমাণ টাকার জোগান দেওয়া কার্যত অসম্ভব। তবে সারা বছর তো বটেই বিশেষ করে মেলার সময় সারা দেশ থেকে অসংখ্য পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে আসেন। তাঁদের সাগরদ্বীপে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে মুড়িগঙ্গা পার করে যেতে হয়। তাই সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য।
ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ নিয়ে নাবার্ডের সঙ্গে রাজ্যের পূর্তদফতরের আলোচনা হয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া নিয়ে নাবার্ডের আধিকারিকরা নীতিগত সম্মতি জানিয়েছেন। নাবার্ডের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সবুজ সঙ্কেত এলেই পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরুর জন্য তা পাঠানো হবে অর্থদফতরে। সবমিলিয়ে আগামী অর্থবর্ষেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করার আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগরে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় করেন। সে ক্ষেত্রেও ভাটার সময়ে দুর্ভোগে পড়েন দর্শনার্থীরা। এছাড়াও স্থানীয়দের নিত্য প্রয়োজনে কাকদ্বীপ কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার যেতে হলে কচুবেড়িয়া থেকে ভেসেল এ মুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে লট ৮ ঘাট থেকে বাস ধরতে হয়। কিন্তু নদীতে চর পড়ে যাওয়ায় অমাবস্যা-পূর্ণিমার ভাটার সময়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভেসেল বন্ধ থাকে। তাই মুড়িগঙ্গায় সেতু নির্মাণ হলে দীর্ঘদিনের সমস্যায় মেটার আশায় দিন দুনছে এলাকাবাসীরা।