শেষ আপডেট: 22nd September 2024 08:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সূত্র ধরেই সামনে এসেছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুর্নীতি। আদালতের নির্দেশে সেই ঘটনারও তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। উঠে আসছে একের পর এক বেনিয়মের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে এবার সরব হলেন আরজি করের একাংশ সরকারি কর্মী। যাঁদেরকে সঙ্গে নিয়ে সন্দীপ ঘোষ আরজি করকে দুর্নীতির ঘাঁটি হিসেবে পরিণত করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা চেয়ে এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা, আরজি কর হাসপাতালের বর্তমান অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যাক্ষকে চিঠি দিলেন হাসপাতালের একাংশ কর্মী।
সেই সূত্রেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ, নিজের শাগরেদদের দিয়ে হাসপাতালের পুলিশ মর্গ থেকেও টাকা তুলতেন সন্দীপ ঘোষ।
হাসপাতালের কর্মী বিক্রম কামতির অভিযোগ, ‘‘প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কোনও উপায় ছিল না। প্রতিবাদ করলেই ট্রান্সফার করে দিত। সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ট সহদেব চোধুরী এবং মণীশ মণ্ডলকে মাসে কুড়ি হাজার টাকা করে তোলা দিতে বাধ্য হত পুলিশ মর্গ।"
হাসপাতালের একাংশ কর্মীর বক্তব্য, সন্দীপ ঘোষ জেলে গেলেও তাঁর অনুগামীরা এখনও হাসপাতাল জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছেন। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে কড়া পদক্ষেপ না করলে আরজি করকে দুর্নীতিমুক্ত করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই নবান্নের তরফে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ স্বাস্থ্য দফতরকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা, সুরক্ষার পাশাপাশি দুর্নীতি রোধেও কঠোর পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।